

ঘরের মাঠে বিপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ইফতিখার আহমেদের শেষবেলার তান্ডবে ফরচুন বরিশাল পায় ২০২। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৭৬ এর বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম। ফলে সাকিব আল হাসানের দল জিতল ২৬ রানে। টানা দুই জয়ে টেবিলের দুইয়ে বরিশাল।
চলমান ৯ম বিপিএলের ৯ম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিজয়-মিরাজের নতুন ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু পায় ফরচুন বরিশাল। ১২ বলে ২৪ রান করা মিরাজকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম। তিনে নামা অধিনায়ক সাকিব প্রথম দুই বলে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরের বলে বোল্ড।
এরপর ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গ দেন এনামুল হক বিজয়। ইনিংসের ৮ম ওভারে বিজয় উইকেট হারান ব্যক্তিগত ৩০ রানে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সমান দুটি চার ও ছক্কায় ১৭ বলে খেলেছেন ২৫ রানের ইনিংস। ভাঙে জাদরান-রিয়াদের ৫১ রানের জুটি।
দারুণ সব স্ট্রোক্স খেলতে থাকা ইব্রাহিম জাদরান ছিলেন ফিফটির পথেই। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন আবু জায়েদ রাহি। ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ইব্রাহিম। দ্রতই উইকেট হারান করিম জানাত (৬) ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা (০)। নিজের শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে রাহি দখলে নেন তৃতীয় উইকেট।
এরমাঝেই সাগরিকায় ঝড় তুলেন পাক তারকা অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমেদ। ইনিংসের শুরুতে ছিলেন ধীরগতিতে; ১৩ বলে করেন ১০। এরপর রীতিমতো তান্ডব বইয়ে দেন ইফতিখার। পরের ১৩ বলে তুলে নেন ৪৭ রান। তার দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে শেষবেলায় অসহায় হয়ে পড়ে চট্টগ্রামের বোলিং লাইন।
শেষপর্যন্ত ইফতিখার আহমেদ অপরাজিত থেকে ফরচুন বরিশালকে দুইশো (২০২) রানের গণ্ডি টপকে দিয়ে আসেন। এবারের বিপিএল আসরে এটিই এখন পর্যন্ত যেকোনো দলের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। শেষ তিন ওভারে আসে মোট ৫১ রান। ইফতিখারের ২৬ বলে খেলা ৫৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ৫ ছয় ও ৩ চারে।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে উসমান খানের উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সংগ্রহ ছিল ৫৭ রান। মারকুটে উসমানকে নিজের প্রথম ওভারেই বিদায় করেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ফেরার আগে অবশ্য ১৯ বলে খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস।
আরেক ওপেনার ম্যাক্স’ও ডাউড ও উন্মুখ চাঁদের ব্যাটে চড়েও বেশ কিছু পথ এগোয় ঘরের দল চট্টগ্রাম। কিন্তু সাকিব আল হাসান ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ডাউডকে। ফেরার আগে ২৯ বলে করেন ২৯। আরও ধীরগতির ইনিংস খেকেল চাঁদ। করিম জানাতে বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১৮তম ওভারের শুরুর বলেই দলীয় ১৩০ রানে উইকেট হারান আফিফ। ২১ বলে খেলা আফিফের ২৮ রানের ইনিংস ৪টি চারে সাজানো।
এরমাঝেই বন্দরনগরীতে জিয়াউর রহমানের ব্যাটে উঠে ঝড়! তবুও হার এড়াতে যথেষ্ট হয়নি। শেষপর্যন্ত জিয়াউর খেলেন হার-না-মানা ৪৭ রানের ইনিংস। মাত্র ২৫ বলে ৫ ছয় ও ৩ চারের মারে জিয়াউর কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস। ফলে ২৬ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করল সাকিব আল হাসানের দল।