

বিপিএলের ৯ম আসরের ঢাকা পর্বে দেখা গেল চার-ছক্কার খেলা। কত, শত সমালোচনার মধ্যেও মিরপুর হোম অফ ক্রিকেটের ব্যাটিং স্বর্গ দেখে মুগ্ধ মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার মতে, এমন উইকেটে খেলা হলে খেলোয়াড়দের উন্নতি হবে। টি-টোয়েন্টির ক্রিকেটার তৈরি হবে।
উদ্বোধনী ম্যাচ লো-স্কোরিং হওয়ার পর মিরপুরের পিচ যেন তার নিজস্ব থিওরির পুরোপুরি বিপরীত রূপ নিল। গতরাতে সিলেট স্ট্রাইকার্স পেয়েছে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটাও সিলেটেরই। বরিশালের করা ১৯৪ সিলেট টপকায় ১৯ ওভারে; ৪ উইকেটে ১৯৬।
গতরাতে ঢাকা ডমিনেটরসের বিরুদ্ধে জয়ের পর উইকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মাশরাফি। বিপিএল ইস্যুতে এতো সমালোচলনার ভিড়েও ম্যাশের চোখে ভালো দিক মিরপুরের উইকেট,
‘উইকেট ভালো হলে সবার জন্য ভালো খেলা সহজ হয়। উইকেট তো শুধু চট্টগ্রামেরটাই ভাল পাওয়া যায়। এবারের (মিরপুর) এরকম উইকেট সচরাচর পাওয়া যায় না; কিন্তু শেষ তিন দিনে যে উইকেট দেখলাম, দারুন উইকেট। এরকম উইকেট হলে আমাদের টি-টোয়েন্টির প্লেয়ার তৈরি হবে। এটা খুব ভাল লক্ষণ এত সমলোচনা হচ্ছে, এত আলোচনা হচ্ছে; কিন্তু এর মধ্যে ভালো দিক খেলাটা ঠিক আছে। উইকেট ভালো ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছে।’
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট বরাবরই ব্যাটিং বান্ধব। সে তুলনায় মিরপুরের উইকেট কিছুটা স্লো। সাগরিকার বাইশ গজে স্বাচ্ছন্দ্যেই বল আসে ব্যাটে, ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারেন আরামে। আর মিরপুরে দেখা যায় পিচের অদ্ভুতুড়ে আচরণ, রান খরায় ভোগেন ব্যাটসম্যানরা।
কিন্তু এবারের বিপিএলে শের-ই-বাংলার উইকেট দেখে মুগ্ধ সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি। তার মতে, এমন উইকেটে খেলা ভালো হচ্ছে। এতে দেশের ক্রিকেটারদেরই লাভ হবে,
‘এমন উইকেটে খেলা হলে খেলোয়াড়দের ইম্প্রুভ হবে। হাজার কথার ভেতরে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, উইকেট ভাল। এবং উইকেট এরকম ভালো হওয়ার কারণে খেলাটা ভাল হচ্ছে।’
বিপিএলের সমালোচনা না করে ভালো ভাবনা টা জরুরি। টি-টোয়েন্টির খেলোয়াড় বের করতে হলে বিপিএলের সাথে আরও একটি লোকাল টুর্নামেন্ট চান মাশরাফি,
‘সবকিছু নিয়ে সমালোচনা করে লাভ নাই। দিনশেষে টুর্নামেন্টটা আমাদের যেমন জরুরি, আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্যও। বিপিএলের পর আঞ্চলিকও একটা হওয়া উচিত, ভারতে প্রদেশে প্রদেশে হয়। আমাদের কাছে এই একটাই (বিপিএল) আছে, এইটা নিয়ে বেশি কথা বললে খেলোয়াড়দের ক্ষতি হবে।’