

বিপিএলেও হাসতে শুরু করেছে মেহেদী হাসানের ব্যাট। তার অলরাউন্ডার পারফর্মেন্সে গতরাতে রংপুরকে হারিয়ে বরিশাল তুলে নিল আসরের প্রথম জয়। গতরাতে ক্যামিও ইনিংস খেলা মিরাজ বললেন, এমন ব্যাটিংই তাঁর পছন্দ। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বাহাতি স্পিনার; মিরাজের মতে এতে সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়।
গতকাল রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচে ইকেটে এসেই প্রথম বলে রাজাকে বাউন্ডারি হাঁকান মেহেদী মিরাজ। দাপট দেখিয়ে মিরাজ প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ২৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে এক করতেই রান আউটে কাটা পড়া মিরাজের ব্যাট হেসেছে পরেই ম্যাচেই।
অফস্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ ব্যাটিং সবসময় এনজয় করছেন। গতরাতে তার ৪৩ রানের ক্যামিও ইনিংস বরিশালের জয়ে রেখেছে বড় ভূমিকা। নিজের ব্যাটিং ও ইনিংসের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মিরাজ,
‘আলহামদুলিল্লাহ। আমি ব্যাটিংটা সবসময় এনজয় করি, আজকেও এনজয় করেছি। তবে যদি ফিনিশ করতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো লাগতো। এমন সিচুয়েশনে আউট হয়ে গেছি যখন অনেক রান বাকি ছিল। আমার কাছে মনে হয় পাওয়ার প্লে টা ব্যবহার করা গেছে এটা দলের জন্য খুব ভালো ছিল। ৪৩ রান খুব কম বলে করেছি এটা দলের খুব সাহায্য হয়েছে। ঐ জায়গায় যদি আমরা তাড়াতাড়ি রান না করতে পারতাম তাহলে দল ব্যাকফুটে পড়ে যেত।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটাঙ্গণে অনেকদিন ধরেই একটা থিউরি কার্যকর, উইকেটে বাহাতি ব্যাটার থাকলে বাহাতি বোলারকে আক্রমণে আনা হয় না। এতে আসলে লাভটা কিভাবে হয়?
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যাচ সেরা ক্রিকেটার মিরাজের ভাষ্য,
‘সবাই কিন্তু অ্যাডভান্টেজটা নিতে চায়। আমি যখন বোলার থাকি তখন যদি দেখি যে লেফট হ্যান্ডেড ব্যাটার আছে তখন আমি কিন্তু একটা ওভার খুব স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারব। সিঙ্গেল নিলে চেঞ্জ হয়ে যায় তবে আমার কাছে অপশন থাকবে। ডট দেবার অপশন থাকবে, টি-টোয়েন্টিতে একটা ওভার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক ওভার কেনো, একটা বলও গুরুত্বপূর্ণ। তো এসবে কিন্তু প্রতিটা দলই অ্যাডভান্টেজ নিবে।’