

দলের প্রয়োজনে ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলার সুখ্যাতি আছে মালানের। ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার ডেভিড মালান ২০১৯ এর পর এবারও বিপিএল খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। ম্যাচে নামার আগে মালানের কণ্ঠে শোনা গেল বিপিএল নিয়ে উচ্ছ্বাসের কথা। কৃতজ্ঞ ডেভিড মালান, বারবার আসতে চান বাংলাদেশে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলের গুরুত্বপূর্ণ মিডিল অর্ডার পজিশন সামলানোর জন্য ওয়ার্ল্ডের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান ভরসার নাম। ২০১৯ সালের বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন মালান।
বিপিএল ও ডিপিএল খেলে নিজের খেলার উন্নতি হয়েছে বলা মালান বলছেন সুযোগ পেলেই খেলতে আসবেন বাংলাদেশে। নিজের প্রথম বিপিএল দারুণ কাজে এসেছে মালানের,
‘আমি সবসময় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ উপভোগ করেছি। এটা ছিল আমার প্রথম টুর্নামেন্টের একটি যেটিতে আমি খেলেছি। এটি আমাকে একটি ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। ক্রিকেট শিখতে সাহায্য করেছে, শুধু বিপিএলই নয়, প্রিমিয়ার লিগও। এই দুটি টুর্নামেন্টই আমাকে আমার খেলার বিকাশে সাহায্য করেছে। তাই বাংলাদেশে আসার যে কোনো সুযোগ, আমি চেষ্টা করি এবং পুরো সুযোগ নিয়েই তা গ্রহণ করি।’
ডেভিড মালান প্রথমবারের মতো বিপিএল মাতাতে আসেন ২০১৬-১৭ সালের আসরে। ইংল্যান্ডের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই মালান বরিশাল বুলসের হয়ে ৯ ম্যাচে ২৪০ রান। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজি বদলে আসেন খুলনা টাইটান্সের হয়ে বিপিএল মাতাতে। তবে এই আসরে মালানের ব্যাট হাসেনি তেমন। ৬ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মোট ১৩১ রান।
উপমহাদেশের উইকেট মানেই স্পিনারদের স্বর্গ। প্রতিপক্ষকে ঘূর্ণি উইকেটে ফেলে বিভ্রান্ত করা তো পুরোনো কৌশল। মালান বাকি সব ক্রিকেটারদের টোটকা দিলেন, উপমহাদেশের স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলে কৌশল আয়ত্ব করতে,
‘হ্যাঁ, আমি অবশ্যই মনে করি আপনি উপমহাদেশে যত বেশি খেলবেন, তত ভালো, আপনি আরও কৌশল শিখবেন। আমি সব সময় শেখার চেষ্টা অনেক বেশি। আপনি যখন এই ধরনের পরিস্থিতিতে আসেন, তখন উচ্চ মানের স্পিনারদের মুখোমুখি হন। অন্যান্য টুর্নামেন্টে প্রতি দলে এক বা দুইজন স্পিনার থাকে, কিন্ত এখানে তিন বা চারজন থাকতে পারে। আর উইকেটও পক্ষে থাকে।’