

গত বিপিএলে ৮ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৫ টি, এবারও মৃত্যুঞ্জয়ের দাপুটে শুরু। বেশি রান খরচ না করে পেয়েছেন উইকেট (১/১১), তবে জিতেনি তার দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মৃত্যুঞ্জয়ের মতে ১৪০ রান সংগ্রহ করতে পারলে সিলেটের বিপক্ষে লড়াইটা জমে উঠত। মিরপুরের কন্ডিশনে বল করে মজা পান নিজেকে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসাবে গড়ে তুলতে থাকা মৃত্যুঞ্জয়।
মৃত্যুঞ্জয় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, তারা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবে শুরু করতে পারেননি। নিজেদের সংগ্রহটা বড় হলে সিলেটের ব্যাটাররা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারতো না।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন,
‘আমাদের জন্য ভালো শুরু ছিল না। আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম সেভাবে শুরু করতে পারিনি। ওরা যেভাবে ব্যাট করেছে… উইকেট এতোটাও বাজে ছিল না। আমাদের একটা জুটি হলে বা শুরুটা ভালো হলে আমরা ভালো করতে পারতাম। একটা বড় স্কোর দিলে লড়াকু এক স্কোর হত এবং তারা চাপে থাকত। যেভাবে রিল্যাক্সে খেলেছে, সেভাবে খেলতে পারত না।’
কত রান হলে লড়াই করা যেত? এমন প্রশ্নের জবাবে মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য,
‘আমরা যদি শুরুটা ভালো করতাম তাহলে সেই অনুযায়ী একটা প্রেডিকশন থাকত। তবে আমি মনে করি ১৩০-১৪০ এই উইকেটে প্রথমদিকে যেমন কন্ডিশন ছিল তাতে খুব ভালো হত। প্রথমদিকে আমরা খুব ধীরে খেলেছি যেটা আর কাভার করতে পারিনি।’
সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। তার ২৫ রানের ইনিংসটাই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। আফিফ হোসেনের সঙ্গে একটা বড় জুটি হলে স্কোরটা বড় হত। আক্ষেপ মৃত্যুঞ্জয়ের কণ্ঠে,
‘আফিফ ভাইয়ের সাথে যদি একটা জুটি হত, আফিফ ভাই যেভাবে খেলছিল তাতে বড় রান হত। আর বড় রান হলে কি হয় প্রতিপক্ষ শুরু থেকেই রিল্যাক্সে খেলতে পারে না। তেমন হলে আমাদের সুযোগটা বেশি থাকত। তারা রিল্যাক্সে খেলেছে এবং ভালো ব্যাটিং করেছে যা তাদের ফেভারে গেছে।’
চট্টগ্রামের চেয়ে মিরপুরের উইকেট ও কন্ডিশন ভালো লাগে মৃত্যুঞ্জয়ের,
‘দেখেন গেলবার বিপিএলে ভালো বোলিং হয়েছে। তবে আমি মিরপুরের উইকেট এনজয় করি। আজকেও উইকেটে বোলিং করে মজা পেয়েছি। একজন পেস বোলার হিসাবে যখন উইকেটে বাউন্স থাকে, কিছু বেনেফিট পায় তাহলে সেটা খুব ভালো লাগার জিনিস। তো মিরপুরের উইকেট আমি খুব এনজয় করি ও খুব ভালো লাগে।’
বড় প্লেয়ারদের দেখে বড় হবার তাগিদ অনুভব করেন তরুণ পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে টি-টেন লিগে খেলে মোটিভেটেড হয়েছেন,
‘দেখেন অবশ্যই আছে (তাগিদ)। দেখেন এখানে খেললে সিনিয়র যারা আছে। যেমন রাজার দলে (সিলেট সিক্সার্স) মোহাম্মদ আমির আছে, উনার সাথে খেলেছিলাম দুবাইতে (আবু ধাবি টি-টেন লিগে)। এনাদের সাথে খেললে একটা মোটিভেশন পাওয়া যায়। অনেক কিছু শেখা যায়, কারণ তাদের যে অভিজ্ঞতা আছে তা আমাদের নেই। অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে একটা বুস্ট আপ হয়। তারা যে ১০ বছরে অভিজ্ঞতা পেয়েছে, তার এক ছোট টিপসেও হয়তো আমি পাঁচ বছর আগায়ে গেলাম। এসব যে ব্যবহার করতে পারবে তারা ভালো প্লেয়ার হতে পারবে, ক্যারিয়ার আগাতে পারবে।’