

বিপিএলের লো-স্কোরিং ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের রেজাউর রহমান রাজার দারুণ বোলিং। আর তাতেই যেন উড়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগের আসরে চট্টগ্রামের হয়ে খেলা রাজা এবার ডুবালেন চট্টগ্রামকেই। নিজের জন্মস্থান সিলেটের হয়ে খেলতে পেরে আনন্দিত রাজা। জাতীয় দলের সাথে থাকা রাজার জন্য বড় এক সুযোগ; যা কাজে লাগিয়েই রাজার এমন সাফল্য।
মিরপুর হোম অফ ক্রিকেটে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রেজাউর রহমান রাজা দেখালেন আগুন বোলিং। চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনকে ধ্বংসস্তূপ করতে রাজা একাই শিকার করেন ৪ উইকেট, মাত্র ১৪ রান খরচায়। ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম, ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সিলেট। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে রাজার হাতে।
View this post on Instagram
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রাজা আসলেন কথা বলতে। ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের পর প্রকাশ করলেন নিজের উচ্ছ্বাস,
‘প্রথমত আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আসলে চেষ্টা ছিল ভালো কিছু করার। আমি আমার প্রসেসে ছিলাম, প্রসেস অনুযায়ী বল করেছি। আর দলের একটা পরিকল্পনা ছিল, সেই অনুযায়ী বল করেছি। ভালো করায় এখন ভালো অনুভব করছি।’
বিপিএলের শুরুতেই ইমপ্যাক্ট পাওয়া প্রসঙ্গে রাজা বলেছেন, দল এবং তার জন্য ভালো।
‘এটা আমি মনে করি আমার জন্য যতটুকু, দলের জন্য ততটা অনুপ্রেরণার। লিগের শুরুতেই এমন একটা ম্যাচ হয়েছে। এটা আমার জন্য ভালো, দলের জন্য ভালো। সামনে এগিয়ে যেতে পারব।’
সিলেটের ছেলে, সিলেটের হয়ে খেলছেন। রাজার কাছে কেমন লাগছে বিপিএলে নিজের অঞ্চলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে?
‘আলহামদুলিল্লাহ। যেহেতু এটা বিপিএল, যেকোন দলেই সুযোগ পেলে ভালো খেলা আমার কর্তব্য। আর যেহেতু সিলেটে আমার বাড়ি, সিলেটে সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত, আলহামদুলিল্লাহ।’
রাজা, আমিরদের তোপের সামনে পড়ে চট্টগ্রামের অসহায় আত্মসমর্পণ। ব্যাটারদের বাজে শটের মহড়া শেষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস থামে ৮৯ এ। তিন ব্যাটার ছাড়া কেউ পৌঁছাতে পারেননি দুই অংকের ঘরে। উইকেট থেকে সুবিধা পাওয়া নাকি নিজেদের বোলিং দাপট? এ নিয়ে রাজার স্বীকারোক্তি,
‘উইকেট থেকে বোলাররা খুব সুবিধা পেয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আপনি দেখেন আমাদের ব্যাটাররা আলহামদুলিল্লাহ ভালো ব্যাটিং করেছে। চেষ্টা করেছি, আমাদের বোলাররা ভালো জায়গায় বল করেছি, সফল হয়েছি।’
জাতীয় দলের সাথে থাকা, এবং পেস বোলিং কোচ অ্যালান্ড ডোনাল্ড থেকে দীক্ষা পাওয়ার প্রসঙ্গে রাজার বক্তব্য,
‘আমি মনে করি জাতীয় দলের সাথে থাকা আমার জন্য বড় এক সুযোগ। অ্যালান ডোনাল্ড বিশ্বমানের বোলার ছিলেন, তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। আমি অনেক কিছুই শিখেছি, আমার যদি কখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয় তাহলে চেষ্টা করব ভালো কিছু করার জন্য।’