

সিডনি টেস্টে যেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠেছে বৃষ্টি, প্রথম দিনে বৃষ্টি বাগড়ায় খেলা মাঠে গড়ায় মাত্র ৪৭ ওভার । দ্বিতীয় দিনে আবারও বৃষ্টি বাধায় খেলা থামে নির্ধারিত সময়ের ঘন্টা দেড়েক আগে। তৃতীয় দিনে সেই বৃষ্টির কারণে কোনো বল মাঠে গড়ায়নি, স্থানীয় সময় ৩ঃ৫২ মিনিটে দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছে। আর তাতেই উসমান খাজার বেড়েছে দ্বিশতকের অপেক্ষায়। প্রথম দুইদিনে তিনটি শতরানের জুটি গড়ে খাজা অপরাজিত ছিলেন ১৯৫ রানে, তৃতীয় দিনে সেটাকে ডাবল রুপ দিলে হয়তো প্যাট কামিন্স ইনিংস ঘোষণা দিতেন দ্রুত।
তবে তৃতীয় দিনে আর তা হয়নি, শুক্রবার বৃষ্টি বাগড়া সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এক বল মাঠে গড়ায়নি। দিনের শুরু থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল সিডনিতে, সেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই যাতে তাড়াতাড়ি খেলা শুরু করতে সেজন্য একটু আগেভাগেই মধ্যাহ্নভোজ সারে দলগুলো। লাঞ্চের আগে খেলা হওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু লাঞ্চের পর আর তা হয়নি। কারণ লাঞ্চের পর থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে। কখনো বা ঝিরিঝিরি, কখনো আবার ভারী বৃষ্টি; এভাবেই থেমে থেমে সারাদিন বৃষ্টি হয় সিডনিতে। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে শেষ বিকেলে তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত করেন মাঠ আম্পায়াররা।
প্রকৃতির প্রতিকূলতা পেরিয়ে যতটুকু খেলা হয়েছে, তাতে অস্ট্রেলিয়া ১৩১ ওভারে ৪ উইকেটে তুলেছে ৪৭৫ রান। উসমান খাজা (১৯৫*), স্টিভেন স্মিথ (১০৪) জোড়া শতক ছাড়াও দুটি অর্ধশতক আসে মারনাস লাবুশেইন (৭৯) ও ট্রাভিস হেডের (৭০) ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় দিনে উসমান খাজা ৩৬৮ বলে ১৯ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় ১৯৫ রানে অপরাজিত থেকে সাজঘরে ফিরেন তৃতীয় দিনে ডাবল সেঞ্চুরির আশায়। বৃষ্টিতে সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিন ভেসে গেলে খাজার অপেক্ষা বাড়ে। ১৯৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার প্রথম দিনে মারনাস লাবুশেইনের সাথে ১৩৫, দ্বিতীয় দিনে স্টিভেন স্মিথের সাথে ২০৯ এবং দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ট্রাভিস হেডের সাথে ১১২ রানের জুটি গড়েন খাজা।
আর দ্বিতীয় দিনে ক্যারিয়ারের ত্রিশতম সেঞ্চুরিতে স্যার ডন ব্যাডম্যানকে ছাড়িয়ে যান স্টিভেন স্মিথ। স্মিথের ১৯২ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছেন অনরিক নরকিয়ে, ১টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজা।