

পিঠের চোটে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি। তবে শেষ ওয়ানডেতে ফিরলে ইশান কিশান ঝড়ের দিনে ছন্দ খুঁজে নেওয়ার সময়ই পাননি। ৯ ওভারেই হজম করেন ৮৯ রান। একদিন পর মাঠে গড়াতে যাওয়া প্রথম টেস্টেও তাকে নিয়ে আছে সংশয়, জানিয়েছেন নিজেই।
তাসকিন এই চোটে ভুগছেন সর্বশেষ বিসিএলের (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ) ওয়ানডে সংস্করণ থেকে। যে কারণে বিসিএলে খেলতে পারেননি এক ম্যাচের বেশি। এরপর ভারত সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতেও একই কারণে খেলা হয়নি তার।
এখনো পুরোপুরি ছন্দে না ফেরা তাসকিনকে নিয়ে টেস্টের মতো ফরম্যাটে ঝুঁকি নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। একটা পরিকল্পনা ধরে এগোচ্ছে তাসকিন ও মেডিকেল বিভাগ।
সে অনুসারে প্রথম টেস্টের আগে ওয়ার্কলোড পুরোপুরি ঠিক না হলে খেলার সম্ভাবনা কম। আজ (১২ ডিসেম্বর) প্রথম টেস্টের ভেন্যু চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন তাসকিন।
তিনি বলেন, ‘অলরেডি ম্যানেজেমন্ট ও দল আমার ওয়ার্কলোড বিল্ডআপ নিয়ে ভাবছে, যেহেতু কেবলই চোট থেকে এলাম। তাই ওয়ার্কলোড, ফিটনেস, বোলিং লোড সবকিছু বাড়ানো নিয়ে কাজ করছি।’
‘যদি এই ম্যাচের আগে লোড পূরণ হয়, সেক্ষেত্রে হয়তো যদি তারা মনে করেন, তাহলে আমি খেলব। যদি ওয়ার্কলোড পূরণ না হয়ে থাকে তাহলে এই টেস্টটা ম্যানেজমেন্ট আমাকে নাও খেলাতে পারে।’
‘হয়ত দ্বিতীয় টেস্ট লক্ষ্য বানাতে হবে। তো, এটা নিয়ে তারা এর মধ্যেই ভাবছে এবং আমার সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। আমার ওয়ার্কলোড পরিকল্পনা অলরেডি আমাকে দিয়েছে। ওটাই অনুসরণ করছি।’
তাসকিন সর্বশেষ লাল বলে খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। এপ্রিলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্টের পর শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন না চোটের কারণেই।
টেস্টে তাসকিনের অভিষেক ২০১৭ সালে, ওই বছর ৫ টেস্ট খেলে চলে যান আড়ালে। প্রায় ৯৮ গড় ও ১৩৩ স্ট্রাইকরেটে উইকেটে যে কেবল ৭ টি।
তবে ২০২১ সালে নতুন আঙিকে প্রত্যাবর্তনটা ঠিকই রাঙাচ্ছেন তাসকিন। এ দফায় ৬ টেস্টেই নিলেন ১৮ উইকেট।