জয়ের ‘অ্যাপ্রোচে’ লিটন-পাপন বিপরীত অবস্থানে

জয়ের 'অ্যাপ্রোচে' লিটন-পাপন বিপরীত অবস্থানে
Vinkmag ad

ভারতের দেওয়া ৪১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ব্যাটিং স্বর্গেও হতশ্রী ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা কি? অধিনায়ক লিটন বলছেন কঠিন লক্ষ্য হলেও জয়ের জন্য আক্রমণাত্মক খেলেছেন তারা। তবে ব্যর্থ হওয়াতে দলীয় সংগ্রহ বড় হয়নি। অন্যদিকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছেন জয়ের কোনো তাড়নাই দেখা যায়নি।

ইশান কিশানের রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরির (২১০) সাথে ভিরাট কোহলির সেঞ্চুরি (১১৩)। আর তাতে ৮ উইকেটে ৪০৯ রানের সংগ্রহ ভারতের। এমন লক্ষ্য তাড়ায় ১৮২ রানে অলআউট স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৪৩ সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। শেষ ম্যাচ হারলেও গের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে বাংলাদেশেরই।

বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যায় লিটন জানিয়েছেন শুরু থেকেই জয়ের জন্য ব্যাট করেছেন তারা। এমন না করে উইকেট ধরে রাখলে ৩০০ বা ৩২০ অনায়াসেই করা যেত।

কিন্তু বিসিবি সভাপতি ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে যে ধরণের উইকেট ছিল, অনেক রান হওয়ার মতো। আসলে এ ধরণের উইকেট আমরা সচরাচর দেখি না। বাংলাদেশে কখনো দেখিনি, সাধারণত আরও স্পোর্টিং উইকেট দেখি। হয় পেসকে সাহায্য করবে, নয়তো স্পিনকে। কিন্তু এটা মোটামুটি ফ্ল্যাট ছিল।’

‘সেক্ষেত্রে প্রথমে ব্যাট নিলে ভালো হতো। তবে নিলেই যে বিরাট কিছু হয়ে যেতো, সেটা বলছি না। কিন্তু যে জিনিসটা হয়েছে, কোহলি ও ইশানের দুটি অসাধারণ ইনিংসের পর স্কোর এমন জায়গায় গিয়েছে আমরা মনে হয় সেখান থেকে ম্যাচটা হেরে গেছি বা ছেড়ে দিয়েছি। জিততে হবে বা জিতবো এমন অ্যাপ্রোচ ছিল না।’

আগের দুই ম্যাচে জয় পেলেও বাংলাদেশের চিন্তার জায়গা ছিল টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যেটে চড়ে মুখে হাসি ফুটেছিল টাইগারদের। আর গতকাল শেষ ম্যাচেতো পুরো ব্যাটিং লাইনআপই ধ্বসে পড়েছে। সিরিজ জিতলেও পাপনের চিন্তার জায়গা টপ অর্ডার।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও প্রথম সারির ব্যাটাররা রান করতে পারেনি। তারপরও দুই একজন রান করে…বিশেষত মিরাজ যে রানটা করেছে, তার জন্য জিততে পেরেছি। বোলিং খুব ভালো হয়েছিল। আমরা জানি ভারতের ব্যাটিং কত শক্তিশালী।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

‘বাংলাদেশ ৩৫০ পর্যন্ত তাড়া করতে পারবে’

Read Next

বিপিএলে বেনি হাওয়েল ফিরলেন পুরনো ঘরে

Total
0
Share