
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ইশান কিশান। ভারতীয় এই ব্যাটার দলীয় ৪০৯ রান সংগ্রহের দিনে একাই করেছেন ২১০! আউট না হলে ৩০০ করা সম্ভব ছিল বলছেন নিজেই।
রোহিত শর্মা চোটে পড়ায় প্রথম দুই ওয়ানডেতে না খেলা ইশানের সুযোগ হয় শেষ ম্যাচে। ক্যারিয়ারের মাত্র ১০ম ওয়ানডে খেলতে নামেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আর তাতেই সাগরিকায় রীতিমতো ঝড় বয়ে গেছে। যে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। রেকর্ড বইয়েও হয়েছে ওলট পালট।
ক্রিকেট ইতিহাসে ইশান কিশান সহ এই নিয়ে মাত্র ৯ বার ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরি দেখা গেল। এই ৯ বারের ৩ বারই আবার রোহিত শর্মা গড়েছেন এই কীর্তি। তালিকায় আছে ইশান ছাড়াও আরও দুই ভারতীয়। ২০১০ সালে প্রথমবার এই কীর্তি ভারতীয় কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারের।
এরপর তার পথ অনুসরণ করেন রোহিত সহ বীরেন্দর শেবাগও। তালিকার বাকি নামগুলো হল মার্টিন গাপটিল, ক্রিস গেইল, ফখর জামান। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রোহিত শর্মার করা ২৬৪ এখনো ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।
আজ ইশান যখন আউট হন তখনো ইনিংসের বাকি ১৪ ওভার। ১৩১ বলে ২৪ চার ১০ ছক্কায় ২১০ রানের ইনিংস সাজানো এই ব্যাটার আউট না হলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৩০০ করেও ফেলতে পারতেন। যেখানে রোহিত শর্মা ২৬৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছে ৫০তম ওভারের শেষ বলে।
ট্রিপলের সুযোগ মিস হলেও কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশে নিজের নাম দেখে উচ্ছ্বসিত ইশান কিশান। তবে ট্রিপল যে সম্ভব ছিল সেটাও জানাতে ভুলেননি। এমন মন্তব্য করেছেন ইনিংস বিরতিতে ব্রডকাস্টারের সাথে আলাপে।
তার ভাষ্য, ‘কিংবদন্তিদের সঙ্গে আমার নাম শুনতে পেরে ভালো লাগছে। আমার এখনও মনে হচ্ছে, যখন আউট হলাম ১৫ ওভার (মূলত ১৪.১ ওভার) বাকি ছিল। হয়তো ৩০০ রানও করতে পারতাম।’
‘আমি আউট হওয়ার সময় ১৫ ওভার বাকি ছিল। মানে ৯০ বল। এর মধ্যে ৪৫ বল খেললেও সহজেই আরও একশ রান করা যেত, কারণ তখন থিতু ছিলাম। বোলাররা ছিল প্রচণ্ড চাপে। ৩০০ রানের জোনেই ছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পারিনি।’