

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটকে ব্যাটিং স্বর্গ বলা হয়। তবে উপমহাদেশের কন্ডিশনে এই স্বর্গ কতটা রান উৎসব দেখাতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তর বোধহয় আজ (১০ ডিসেম্বর) দিয়েছে ভারতীয় ব্যাটার ইশান কিশান। ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরিকে রূপ দিয়েছে ডাবল সেঞ্চুরিতে। বেশ কয়েকটি রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়ে ম্যাচ শেষে জানালেন উইকেট দেখেই রান হবে বুঝতে পেরেছেন।
আগের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে ভারত। মিরপুরে ম্যাচ দুইটিতে সুযোগ হয়নি ইশান কিশানের। তবে অধিনায়ক রোহিত শর্মা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চোট পেয়ে দেশে ফিরলে আজ একাদশে দেখা মেলে ইশানের।
ক্যারিয়ারের ১০ম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ১ম ওয়ানডে খেলতে নেমেই রেকর্ড বইয়ে ওলট পালট করে দিয়েছেন। ভিরাট কোহলির সাথে ২৯০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে এনে দিয়েছেন ৮ উইকেটে ৪০৯ রানের পুঁজি। নিজে ১৩১ বলে ২৪ চার ১০ ছক্কায় করেছেন ২১০ রান। ২০১৯ সালের পর প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া কোহলি থামেন ১১৩ রানে।
১২৬ বলে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইশানই এখন দ্রুততম ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিকও। ২১০ রান করে বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংসও এখন এই বাঁহাতির।
৪১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা বাংলাদেশ ইশানের রানও পার করতে পারেনি। অলআউট হয়েছে ১৮২ রানে। ২২৭ রানের জয়ে হোয়াইট ওয়াশ এড়িয়েছে ভারত।
নিজের ইনিংস ও চট্টগ্রামের সাগরিকার উইকেট নিয়ে এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘সাপোর্ট স্টাফদের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আমি শুধু বোলার ও বলকে লক্ষ্য করেছি। বাকিটা আমার পক্ষে গেছে। উইকেট দেখেই বুঝেছি ভালো ব্যাটিং করা যাবে। আলগা বলগুলোকে বাউন্ডারিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি।’
‘আমি মনে করি ব্যট করার জন্য এটি দারুণ উইকেট ছিল। আমার জন্যও খুব ভালো পরিস্থিতি ছিল। বলের দিকে ঠিকঠাক মতো নজর রেখেছি আর সে অনুসারে শট খেলেছি।’
ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমই একটা ক্রিকেট কোচিং একাডেমি। এতো এতো তারকা নিয়ে গড়া দল যে অনায়েসে আগের লাইনটার যৌক্তিকতা তুলে ধরা যায়। রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইশান কিশানও যে সে বার্তাই দিলেন।
‘আমার মনে হয় যখন আপনার দলে এতো সিনিয়র খেলোয়াড় থাকবে তাদের সাথে স্বাভাবিকভাবেই অনেক আলাপ হবে।’