
ইশান কিশান করেছেন রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরি, ওয়ানডেতে কোহলির কেটেছে সেঞ্চুরি খরা। আর তাতেই ভারতের স্কোরবোর্ডে ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহ। মিরপুরে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা টাইগাররা চট্টগ্রামে এসে হোয়াইটওয়াশ মিশন সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ। ১৮২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ২২৭ রানের জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াল ভারত।
২৬০ রানের বড় হার দেখলেও ২-১ ব্যবধানে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় সিরিজ জয়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে লিটন নেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই মিরাজের হাতে ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদেশ। ৩ রানে লেগ-বিফোরের ফাঁদে শিখর ধাওয়ান।
এরপর ইশান কিশানের ব্যাটিং তান্ডব, সঙ্গে ভিরাট কোহলির দারুণ সঙ্গ। এই জুটিতে উলটপালট হয়েছে অনেক রেকর্ড। ১৯০ বলে ২৯০ রানের দাপুটে পার্টনারশিপ! টাইগার বোলিং অ্যাটাক হয়ে যায় ধ্বংসস্তূপ।
ভিরাট কোহলিকে নিয়ে রেকর্ড জুটি গড়ার পথে একগুচ্ছ রেকর্ড সঙ্গী করে ইশান কিশান তুলে নেন দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের ১০ম ওয়ানডে খেলতে নেমে ইশান আউট হন ২১০ রানে, কোহলি থামেন ১১৩ রানে। শেষ দিকে ওয়াশিংটন সুন্দরের ৩৭ ও আক্সার প্যাটেলের অপরাজিত ২০ রানে ভারতের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪০৯ রান।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং স্বর্গে শুরুতেই উইকেট হারান এনামুল হক বিজয়। ৮ রানে থাকা বিজয় আক্সার প্যাটেলের বলে সিরাজের হাতে তুলেন সহজ ক্যাচ। দারুণ শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাস। ২৬ বলে খেলা ২৯ রানের ইনিংস সাজান ৪ চার ও ১ ছক্কায়।
সাকিবকে সঙ্গ দিতে এসে মুশফিক (৭) করেছেন উইকেট দান। আক্সারের বলে সুইপ খেলতে যেয়ে হারান স্টাম্প। নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় সুযোগ পাওয়া ইয়াসির রাব্বি মেলে ধরতে পারেনি নিজেকে। ৩০ বলে করেন ২৫।
সাকিব আল হাসান থিতু হয়ে ছুটছিলেন ফিফটির পথে। কিন্তু কুলদ্বীপ যাদবের করা লেগ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে যেয়ে হয়েছেন বোল্ড। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রানের ইনিংস। ২০ রানের বেশি করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শারদুল ঠাকুরকে ছয় হাঁকাতে যেয়ে ডিপ পয়েন্টে সহজ ক্যাচ হন আফিফ হোসেন (৮)।
আগের দুই ম্যাচের জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ এদিন আউট হন ৩ রানে। দলীয় ১৪৮ রানের অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর এবাদত হোসেনকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে শারদুল দখলে নেন তৃতীয় উইকেট।
শেষদিকে তাসকিন ও মুস্তাফিজ দাপট দেখিয়ে কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। তাসকিন অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে আর ফিজ করেন ১৩ রান।