

মেহেদী হাসান মিরাজের আরও একটি দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনীর দিনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ চোট নিয়েও শেষদিকে ব্যাট করতে নেমে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিল রোহিত শর্মা। ম্যাচ শেষে মিরাজ বলছেন তারা এমন কিছুর জন্য প্রস্তুতই ছিলেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৪৮ রানের রেকর্ড জুটিতে ২৭১ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
রিয়াদ ৭৭ রান করে আউট হলেও নাটকীয়ভাবে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান মিরাজ। ৮৩ বলে ঠিক ১০০ রানেই ছিলেন অপরাজিত।
বাংলাদেশ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই স্লিপে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁহাতে চোট পান রোহিত শর্মা। ভারতীয় কাপ্তান তাৎক্ষনিক মাঠ ছাড়েন, এক্স-রে করতে যান হাসপাতালেও। কোনো চিড় ধরা না পড়লেও হাতে সেলাই লেগেছিল।
তবে মাঠে ফিরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামার মতো অবস্থায় ছিলেন না। এক পর্যায়ে ভারতের রান ৭ উইকেটে ২০৭। পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা দলকে টেনে তুলতে রোহিত নেমে পড়েন ব্যাটে। হয়তো ক্রিজে থাকা ব্যাটারকে সাপোর্ট দিতে চেয়েছেন। খেলেছেনও সেভাবে, খুব বড় শটে যাননি।
কিন্তু অন্য প্রান্তে দীপক চাহার আউট হলে চোট নিয়েই বড় শটের পথে হাঁটেন রোহিত। শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ২০ রানের। মুস্তাফিজের করা প্রথম ৫ বলে ২ ছক্কায় ১৪ রান নিয়েও ফেলেন।
তবে শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে না পারায় ম্যাচ হারতে হয় ৫ রানে। তবে ২৮ বলে ৩ চার ৫ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন ভারতীয় কাপ্তান।
ম্যাচ শেষে সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ বলছেন রোহিত ব্যাটিংয়ে আসবে এমন প্রস্তুতি তাদেরও ছিল।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘অবশ্যই আমাদের মানসিকভাবে সে প্রস্তুতি ছিল যে রোহিত শর্মা ব্যাটিং করতে পারে। যদি সে ব্যাটিং করতে আসে আমাদের বোলারদের ওই পরিকল্পনা ছিল যে কীভাবে বল করবো। কিন্তু দিনশেষে আপনাকে ১০ উইকেটই নিতে হবে। ১০ উইকেট না নিলে জিততে পারবো না। তারপরও সে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। সে যেভাবে খেলেছে তা ওদের জন্য ইতিবাচক দিক।’
তবে অমন পরিস্থিতিতেও দল জেতায় বোলারদের কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি মিরাজ, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয় আমাদের বোলাররা খুব ভাল বল করেছে। যেভাবে চাপে রেখেছে…মাঝে একটা জুটিও হয়ে গিয়েছিল। এটা হতেই পারে, আমাদেরও হয়েছে। তারপরও আমরা খুব ভালো ওভারকাম করেছি। মুস্তাফিজ আউটস্ট্যান্ডিং বোলিং করেছে, এবাদত ভালো বোলিং করেছে, সাকিব ভাই, নাসুমও। আমার কাছ থেকে যেটা আশা করেছিল সেটা আমি দিতে পারিনি (বোলিংয়ে)।’
ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতেও ৪৬ রান খরচায় মিরাজ নেন ২ উইকেট। তবে ৭ম ওভারের প্রথম বল করেই পায়ে টান লাগায় আর বোলিং করেননি। তার জায়গায় ৩.৫ ওভার বল করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এ নিয়ে মিরাজ যোগ করেন, ‘আমার একটু ক্র্যাম্প করতেছিল, আমার অনেক বেশি টান লাগতেছিল তাই বোলিং টেনে নিতে পারিনি। কিন্তু রিয়াদ ভাই আমাকে খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে, ৩-৪ ওভার ভালো বোলিং করে দিয়েছে মাঝখানে।’