

রোমাঞ্চের নানা অলি-গলি পেরিয়ে শেষ হল রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট। পঞ্চম দিনের চা বিরতির পর ওলি রবিনসন ও জেমস অ্যান্ডারসনের বোলিং তোপের সামনে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। ৫ উইকেটে ২৫৮ রানে থাকা পাকিস্তানকে ২৬৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইংলিশরা তুলে নিয়েছে ৭৪ রানের জয়।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৬৫৭ রানের জবাবে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৫৭৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩৫.৫ ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান। বাকি ৪ সেশনে ৩৪৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড।
ম্যাককুলাম হেড কোচ আর স্টোকস অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, ইংল্যান্ড মাঠে আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ড ক্রিকেট খেলেছে এবং বীরত্বের জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছে, দল পাচ্ছে জয়। ম্যাচে যখনই মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড সমস্যায় পড়েছে, তখনই কেউ পাল্টা আক্রমণের ইনিংস খেলে দলকে সমস্যা থেকে বাঁচিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ডাক নাম বাজ এবং তাঁর কৌশলের নাম হল বাজবল। যিনি ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট সংস্কৃতিকে পুরোপুরি বদলে দিতে বদ্ধপরিকর। এবার পাকিস্তান সফরেও ইংল্যান্ড দল আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ড ক্রিকেট খেলে তুলে নিয়েছে রোমাঞ্চকর এক জয়।
৩৪৩ রানের টার্গেটে ২ উইকেটে ৮০ রান করা পাকিস্তানের সামনে ছিল শেষদিনের চ্যালেঞ্জ। জিততে হলে করতে হত আরও ২৬৩ রান। শুরুর ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়েন ইমাম-উল-হক ও সৌদ শাকিল।
কিন্তু শেষদিনের শুরুর সেশনেই উইকেট হারান ৪৮ রানে থাকা ইমাম। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে শাকিলের জুটি। বেশ দাপটের সঙ্গেই এই জুটি লাঞ্চ বিরতিতে যায়। লাঞ্চ থেকে ফিরে ৪ রানের জন্য ফিফটি হাঁকানো হয়নি রিজওয়ানের। হয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসনের শিকার।
দারুণ খেলতে থাকা সৌদ শাকিল ব্যক্তিগত ৭৬ রানে ওলি রবিনসনের বলে ক্যাচ তুলে নিয়েছেন বিদায়। ১৫৯ বল খেলে ১২ চারে সাজান এই ইনিংস। এরপর আঘা সালমান ও আজহার আলির ব্যাটে চড়ে ৫ উইকেটে ২৫৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে পাকিস্তান।
জয়ের জন্য শেষ সেশনে প্রয়োজন ছিল ৮৭ রানে; হাতে বাকি পাঁচ উইকেট। এমন সমীকরণের ম্যাচেও পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন হয়ে যায় ধ্বংসস্তূপ। রবিনসন, অ্যান্ডারসনের তোপের সামনে পড়ে চা বিরতির পর কেবল ১১ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতেই নেই বাকি পাঁচ উইকেট। আর তাতেই ইংল্যান্ড পেয়ে যায় ৭৪ রানের জয়।