

ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে এই জয়ে সমান অবদান রেখেছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। শেষ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছেদ্য ৫১ রান দুজনের। মিরাজ জানিয়েছেন সমর্থন দেওয়া মুস্তাফিজ শরীরে আঘাত লাগলেও আউট হবেন না এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন।
১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৬ রান তুললতেই ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নিশ্চিত পরাজয় যখন সময়ের ব্যাপার তখনই মিরাজ-মুস্তাফিজের অমন দুর্দান্ত এক জুটি। ৩৯ বলে মিরাজের অপরাজিত ৩৮ যতটা গুরুত্বপূর্ণ এই জয়ে ততটাই ১১ বলে মুস্তাফিজের ১০ রান। ম্যাচ শেষে মিরাজ জানিয়েছেন দুজনের কি কথা হয়েছিল ক্রিজে।
View this post on Instagram
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা মুস্তাফিজ খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। একটা জিনিস আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, ও খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল। একটা কথা আমাকে বারবার বলছিল, আমাকে নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই। আমি ঠেকিয়ে দিচ্ছি। আমি আউট হবো না, গায়ে বল লাগলেও সমস্যা নাই।’
‘ওর এই বিশ্বাস দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমারও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে ওর আত্মবিশ্বাস দেখে।’
নবম ব্যাটার হিসেবে হাসান মাহমুদ যখন আউট হন তখন মিরাজের রান ছিল ১ রান। দলের জয়ে প্রয়োজন ৫১ রান।
যেখান থেকে বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে সেখান থেকে জয়টা দেশের ক্রিকেটের একনিষ্ঠ সমর্থকের জন্যও বিশ্বাস করা কঠিন। অথচ ক্রিজে থাকা মিরাজ বলছেন মানুষ পাগল মনে করলেও তার বিশ্বাস ছিল জয়টা সম্ভব।
তার ভাষ্য, ‘অনেকে শুনলে হয়তো বলবে পাগল, হয়তো মনে করবে যে কিছু…। সত্যি বলতে আমি বিশ্বাস করছিলাম। আমার বিশ্বাস খুব ভালো ছিল। আমার কাছে একবারও মনে হয়নি ম্যাচটা হারবো। শুধু একটা কথা বারবার বলছিলাম, আমার মনে যেটা চলছিল, আমি পারবো। বারবার নিজেকে বলেছি আমি পারবো, আমি পারবো।’
মিরাজ ক্রিজে আসার পর আউট হন আফিফ। এরপর যারা এসেছেন সবাই টেল এন্ডার। এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদকে একই বার্তা দেন মিরাজ। তবে এবাদত, হাসান মাহমুদ না পারলেও যোগ্য সঙ্গটা দিতে পেরেছেন মুস্তাফিজ।
এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘যখনই যে লাস্টের ব্যাটার ছিল- হাসানকেও একই কথা বলেছি যে চার-পাঁচটা বল যদি তুমি খেলতে পারো তাহলে আমার জন্য সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি যেভাবে চিন্তা করছিলাম হয়তো এবাদতকে নিয়ে ১৫ রান করবো, হাসানকে নিয়ে ২০ রান করবো। মুস্তাফিজকে নিয়ে শেষে ১৫-২০ রান যা লাগে, করবো। এভাবেই আমার চিন্তা ছিল।’
‘কিন্তু তারপরও পরপর দুই উইকেট পড়ে গেছে। শেষ উইকেট যখন ছিল- তখন তো ডু অর ডাই। মানে হারানোর কিছু নাই। তখন তো ঝুঁকি নিতেই হবে। ঝুঁকিটা এমন নিয়েছি… মুস্তাফিজের কথা খুব ভালো লেগেছে- ওর কথা কানে বাজছিল তখন নিজের মধ্যে নিজের বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।’