

সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই ডুবে ছিল বাংলাদেশ। বাজে পারফরম্যান্সে হতাশও করেছে ভক্ত সমর্থকদের। তবে নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যের ফরম্যাট ওয়ানডেতে ফিরতেই চেনা রুপে হাজির টাইগাররা। ৭ বছর পর বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আসা ভারতকে প্রথম ওয়ানডেতেই অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাকিব আল হাসানের ৫ উইকেটের সাথে এবাদত হোসেনের ৪ উইকেটে ১৮৬ রানের বেশি করতে পারেনি রোহিত শর্মার দল। ৭৩ রান করে একাই লড়েছেন ওপেনার লোকেশ রাহুল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে ভারত।
ভারতের উদ্বোধনী জুটি টিকেছে ৫.২ ওভার। মেহেদী হাসান মিরাজের বলের রিভার্স সুইপ খেলতে চেয়েছেন শিখর ধাওয়ান তবে ব্যর্থ হন। বুকে লেগে বল স্টাম্পে যায়, তাতে ১৭ বলে ৭ রানেই তাকে থামতে হয়। রোহিত শর্মার সাথে ভাঙে ২৩ রানের জুটি।
এরপর ভিরাট কোহলিকে নিয়ে সাবলীল ব্যাটিংই করছিলেন রোহিত। তবে ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে দুজনকেই ফেরান সাকিব। ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করেন রোহিতকে (৩১ বলে ২৭ রান)।
এক বল পর ফেরান প্রতিপক্ষের অন্যতম সেরা ব্যাটার কোহলিকেও। কাভারে লিটন দাসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হয়ে কোহলি থামেন ১৫ বলে ৯ রানেই। ৪৯ রানেই ৩ উইকেত হারিয়ে বসে সফরকারীরা।
৪৩ রানের জুটিতে দলকে পথ দেখাতে চেয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। তবে দলীয় ১০০ রানের আগেই আইয়ারকে ( ৩৯ বলে ২৪) ফেরান এবাদত হোসেন।
দ্রুত ফেরানো যেত ওয়াশিংটন সুন্দরকেও। মিরাজের বলে ব্যক্তিগত ১২ রানে লং অফে তার ক্যাচ ছাড়েন এবাদত হোসেন।
তবে জীবন পেয়েও খুব একটা এগোতে পারেননি এই বাঁহাতি। ৪৩ বলে ১৯ রান করে সাকিবের বলে এবাদতকে ক্যাচ দিয়েই ফিরতে হয় তাকে। ফলে ভাঙে ৬০ রানের জুটি। তার আগেই অবশ্য ৪৯ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন লোকেশ রাহুল।
সুন্দরের পর ক্রিজে আসা কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেনি। সাকিবের সাথে এবাদতের তোপে খালি হাতে ফেরেন শাহবাজ আহমেদ ও দীপক চাহার। ২ রানের বেশি করতে পারেনি শার্দুল ঠাকুর।
৪ উইকেটে ১৫২ থেকে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানে পরিণত হয় সফরকারীরা। দীপক চাহারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ক্যারিয়ারে চতুর্থ বারের মতো ৫ উইকেট শিকার সাকিবের।
একপাশ আগলে রেখে লোকেশ রাহুলের যে চেষ্টা সেটি প্রতিরোধ করেন এবাদত। ৪০তম ওভারে ২ চার ১ ছক্কা হজম করার পর পঞ্চম বলে বিজয়ের ক্যাচে পরিণত করেন। ৫ চার ৪ ছক্কায় ৭০ বলে ৭৩ রান রাহুলের নামের পাশে।
এবাদতের চতুর্থ শিকার হয়ে মোহাম্মদ সিরাজ (২০ বলে ৯) আউট হলে ১৮৬ রানেই অলআউট হয় ভারত।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেওয়ার পথে ৪৭ রান খরচ এবাদতের। ৩৬ রানে ৫ উইকেট নেন সাকিব।