

ইব্রাহিম জাদরানের ১৬২ এবং রাশিদ খানের চার উইকেট ম্লান করে চার উইকেটে জিতল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। পাল্লেকেলেতে চারিথ আসালঙ্কা, ওয়েললাগের ব্যাটিং দাপটে ৩১৪ রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ১-১ সমতায় রেখে শেষ করল। ৮৩ রানের অপরাজিত ম্যাচজয়ী ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার আসালাঙ্কার হাতে।
টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩১৩ রান জমা করে আফগানিস্তান। পুরো পঞ্চাশ ওভার মাঠে ব্যাট হাতে রাজত্ব চালান ইব্রাহিম জাদরান। তবে এদিন ব্যর্থ আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৫)। তিনে নামা রহমত শাহ করেন ২২। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি ৪ রান করতেই নেন বিদায়।
তবে ব্যাট হাতে অনবদ্য ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। এই দুইয়ের ব্যাটে আসে ১৫৪ রানের জুটি। দারুণ সব স্ট্রোক্স খেলে হাঁকান জোড়া ফিফটি। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে নাজিবউল্লাহ ক্যাচ তুলে ফিরলে ভাঙ্গে জুটি। মাঝে মোহাম্মদ নবীর ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে, দেড়শত রানের গণ্ডিও ছাড়িয়ে যান। ইনিংসের শেষ বলে আসিথা ফার্নান্দো ফেরান ইব্রাহিমকে। ফেরার আগে খেলেন ১৬২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। ১৩৮ বলে তার এই ইনিংস সাজানো ১৫টি চার ও ৪ ছক্কায়।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে ১০১। মোহাম্মদ নবী ৬৭ রান করা কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে এনে দেন ব্রেকথ্রু। ৩৫ রানে থাকা পাথুম নিসাঙ্কাকে বোল্ড করেন রাশিদ খান। তিনে নামা দীনেশ চান্দিমাল করেন ৩৩ রান।
রাশিদের দ্বিতীয় শিকার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৫)। এরপর চারিথ আসালাঙ্কার ব্যাটে চড়ে এগোয় শ্রীলঙ্কা। মাঝে অধিনায়ক দাসুন শানাকা খেলে ফিরেন ৪৩ রানের ইনিংস। তাকেও বোল্ড করে বিদায় জানান রাশিদ। দুই রানের বেশি পাননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। রাশিদ দখলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট।
দারুণ সব স্ট্রোক্স খেলে ফিফটি পূর্ণ করেন আসালাঙ্কা। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান জয়ের পথে। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়ে ডুনিথ ওয়েললাগে করেন ২১ বলে ৩১। ৭২ বলে ৮৩ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন আসালাঙ্কা। ২ বল বাকি থাকেই লঙ্কানরা পায় ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়।