

কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে চমক দেখান রংপুর বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন। ব্যাটে-বলে অবদান রেখে এই অলরাউন্ডার জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার। আর এবারই প্রথম বিসিবি চালু করেছে বিশেষ এক পুরষ্কারের, যা উঠেছে মামুনের হাতে।
এ বছর থেকে বিসিবি দিচ্ছে সাবেক ক্রিকেটার আহসান জহির ও তারিকউজ্জামান মুনিরের স্মৃতিতে অ্যাওয়ার্ড। যেটিকে ‘জহির-মুনির অ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিকেটিং এক্সিলেন্স’ হিসেবে পরিচিত করবে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সে প্রেক্ষিতে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় এনসিএল টুর্নামেন্ট সেরাকে এই পুরষ্কার দিবে। তবে পুরষ্কারটি এনসিএল শেষেই দেওয়া যায়নি। বরং একটু অপেক্ষা করে আরও ভালো সময়েই তুলে দেওয়া হয়েছে মামুনের হাতে।
গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনাল শেষে রাতে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেশ আয়োজন করেই এই পুরষ্কার দেওয়া হয়। পুরষ্কার তুলে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল আহসান জহির ও তারিকুজ্জামান মুনিরের পরিবারের সদস্যরা।
পুরষ্কার হিসেব দুই লাখ টাকার পাশাপাশি ছিল একটি ব্লেজার ও পদক। এমন পুরষ্কারে রীতিমতো বিস্মিত হন সর্বশেষ যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা মামুন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, আমি বুঝতে পারিনি, নিজেও ভাবতে পারিনি এমন আয়োজন! যখন শুনলাম আমাকে পুরস্কার দেবে, ভেবেছিলাম সাধারণ কিছু। কিন্তু এখানে (বোর্ডে) এসে বুঝলাম এত বড় আয়োজন।’
‘আমি দুই মাস আগেও তো এসব কিছু চিন্তা করিনি যে এনসিএলে সুযোগ পাব, এই পুরস্কার পাব। এটা আমার কাছে বিস্ময়। বিসিবিকে ধন্যবাদ এমন একটা সংবর্ধনা আমাকে দেয়ার জন্য।’
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগে ব্যাটে-বলে দুর্বার ছিলেন মামুন। চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগের হয়ে ৯ ইনিংসে ৪৬.৫৭ গড়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২৬ রান করেছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। সঙ্গে ডানহাতি মিডিয়াম পেসে ১২.২৭ গড়ে ১১ উইকেট নেন। এতেই মামুনের হাতে ওঠে টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার।
এই পুরষ্কার নিয়ে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, ‘আমরা এবার ‘জহির-মুনির অ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিকেটিং এক্সিলেন্স’ চালু করছি। এ পুরস্কার প্রতি বছর দেওয়া হবে। জাতীয় লিগ শেষ হওয়ার পরই এটি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একেক ম্যাচ তো একেক ভেন্যুতে হয়, তাই তখন দিতে পারিনি আমরা।’
বলে রাখা ভালো বাংলাদেশ টেস্ট স্বীকৃতি লাভের আগে এনসিএলের আদলে জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন হত। প্রথম শ্রেণির মর্যাদা না পাওয়া ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে সেই টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকান তারিকুজ্জামান মুনির। যা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি।

তার আগে দেশের ঘরোয়া লিগে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান আহসান জহির। তবে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা না থাকায় রেকর্ড বইয়ে দুজনের কারও নাম নেই। বিসিবি তাদের অর্জনকে টিকিয়ে রাখতে এবার হাতে নিল দারুণ উদ্যোগ। তাদের নামে চালু করেছে অ্যাওয়ার্ড।