

শুরুতে অস্বস্তি, দলের অন্যতম ভরসা লিটন দাস হয়েছেন আরেক দফা ব্যর্থ। টপ অর্ডারে বাকিরাও ব্যর্থ। এমন পরিস্থিতি থেকে বিসিএল ফাইনালে আগে ব্যাট করা বিসিবি নর্থ জোনের ভীত গড়ে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফজলে রাব্বি। শেষদিকে দারুণ দুইটি ইনিংসে বিসিবি সাউথ জোনের বিপক্ষে লড়াকু সংগ্রহ পেলো নর্থ জোন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে বিসিবি নর্থ জোনের পুঁজি ৮ উইকেটে ২৪৪। সর্বোচ্চ ৬৮ রান ফজলে রাব্বির ব্যাটে। এ ছাড়া আকবর আলি ৪৪, রিয়াদ ৩৯ ও শামীম করেন ৩৭ রান।
বিসিবি নর্থ জোনকে শুরুতে চেপে ধরে বিসিবি সাউথ জোনের বোলাররা। বিশেষ করে প্রথম স্পেলে দারুণ করেছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে ফেরান ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপুকে। ৬ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটার।
বিসিএলে আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া লিটন দাসকেও ফেরান শরিফুল। নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই লিটনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ১ রানেই থামান। ২ উইকেটে ১৮ রানে পরিণত হয় বিসিবি নর্থ জোন।
এরপর সৈকত আলি ও ফজলে রাব্বির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছে নর্থ জোন। তবে তাদের ২৭ রানের জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে সৈকত আলি রান আউট হলে। অথচ চাপের মুখে তিনিই সাবলীল খেলছিলেন। ৩০ বলে ৪ চারে তার ব্যাটে ২২ রান।
৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানো নর্থ জোনকে এরপর পথ দেখান আগের ম্যাচে ৯৬ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফজলে রাব্বি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৭৮ রান।
৫৩ বলে ৩৯ রান করে নাসির হোসেনের বলে রিয়াদ বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। তবে অন্যপ্রান্তে ততক্ষণে ৮৯ বলে ৪ চারে ফিফটি তুলে নেন ফজলে রাব্বি। ফিফটির পর অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফেরেন ৬৫ রান করে। ১১৪ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।
তবে শেষদিকে দারুণ কার্যকর দুটি ইনিংস খেলেন আকবর আলি ও শামীম পাটোয়ারী। ৪১ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় আকবরের ব্যাটে ৪৪ রান। ২০ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় শামীম করেন ৩৭ রান। শেষ ১০ ওভারে নর্থ জোনের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৮৭ রান।
বল হাতে বিসিবি সাউথ জোনের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেত নেন শরিফুল। ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে মাত্র ১৭ রান খরচ করা এই পেসার ইনিংস শেষ করেন ১০-১-৪৫-৩ ফিগার নিয়ে! ৩১ রান খরচায় ২ টি উইকেট নেন মিরাজ।