

বিসিএলে তারকা নির্ভর দল গড়েছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। তবে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারেনি লিগ পর্বে। তবে উল্টো চিত্র বিসিবি সাউথ জোনে। আজ ইস্ট জোনকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচে তিন জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত তাদের।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে ধুঁকেছে মুশফিকুর রহিমের ইস্ট জোন। সাউথ জোনের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টপ অর্ডার। মিডল অর্ডারেও কেবল রান পেয়েছেন মুশফিক।
তার ৬৮ রানের পরও ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় ইস্ট জোন। জবাবে নাইম শেখের ৮২ রানে চড়ে সহজ জয়ই পেয়েছে সাউথ জোন। ৩০ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই নিশ্চিত হয় জয়।
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন শুরু থেকেই বিপাকে। তামিম ইকবাল ব্রাজিলের খেলা দেখতে কাতার যাওয়ায় ইনিংস ওপেন করেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। দুজনেই হয়েছেন ব্যর্থ, জয় ৬ ও ইমন ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস থামেন ১৬ রানে, আফিফ হোসেন ধ্রুব তারও অর্ধেকে (৮)। প্রীতম কুমার ১০ ও শেখ মেহেদী করেছেন ১ রান। আর তাতে ৭৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছে ইস্ট জোন।
তবে এক পাশ আগলে রেখে দলের হাল ধরেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিক। তার ফিফটিতে ভর করেই সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে ইস্ট জোন। শেষদিকে ছোট তবে কার্যকরী দুইটি জুটি গড়েন মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ ও রেজাউর রহমান রাজার সাথে।
১১১ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজান মুশফিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে রাজার ব্যাটে। ১০ নম্বরে নেমে তানভীর ইসলামের অপরাজিত ১৯ রান।
১৭০ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে বিসিবি সাউথ জোনের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির। জিয়াউর রহমান নেন ২ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শেখ মেহেদী হাসানের স্পিনে দ্রুতই ২ উইকেট হারায় সাউথ জোন। তবে নাইম ইসলামকে নিয়ে ১০৪ রানের জুটিতে বিপদের শঙ্কা কাটান নাইম শেখ।
নাইম ইসলামকে এক পাশে রেখে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন নাইম শেখ। তবে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়েও পুড়েছেন আক্ষেপে। ৯৩ বলে ১০ চার ২ ছক্কায় সাজান ৮২ রানের ইনিংসটি। নাইম ইসলামও এরপর বেশি দূর যেতে পারেননি, থেমেছেন ২৬ রানে।
যদিও নাসির হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে বাকি পথ অনায়েসেই পাড়ি দেয় সাউথ জোন। দুজনে অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ২৩ ও ২০ রানে।