

ব্যাট হাতে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ব্যর্থ, ফিফটির আগে থামেন মুশফিকুর রহিমও। তবে ইয়াসির আলি রাব্বির ৮০ রানে চড়ে ২৫৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের। এরপর বল হাতে এবাদত হোসেন ও রেজাউর রহমানের গতির ঝড়, ঘূর্ণি নিয়ে হাজির শেখ মেহেদী। আর তাতে ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় বিসিবি সেন্ট্রাল জোন। ১১৪ রানের বড় জয়ে বিসিএল (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ) ওয়ানডে সংস্করণ শুরু ইস্ট জোনের।
টস হেরে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করা ইস্ট জোন শুরুতে বেশ ভুগেছে। ২৯ বল খেলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেনি অধিনায়ক তামিম। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের (৮ বলে ১) অফ ফর্ম যেন কাটছেই না। ইমরুল কায়েস থেমেছে মাত্র ৪ রানে।
৪৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেনের ৫৪ রানের জুটি। আফিফ ২৭ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর ইয়াসিরের সাথে মুশফিকের জুটি অবশ্য টিকেনি বেশিক্ষণ।
৭৭ বলে ৪ চারে মুশফিক ৪৪ রান করে বোল্ড হন তাইজুল ইসলামের বলে। ইস্ট জোনের ইনিংসের বাকি অংশ লেখা হয়ে ইয়াসিরের ব্যাটে। ৭৩ বলে ৪ চার ৫ ছক্কায় সাজান ৮০ রানের ইনিংসটি। শেখ মেহেদীর ব্যাটে আসে ২০ রান।
২৫৪ রানে অলআউট করার পথে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে ৩৯ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের। দুইটি করে নেন পেসার রবিউল হক ও সুমন খান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভালো শুরু পায় সেন্ট্রাল জোন। সৌম্য সরকার ও আব্দুল মজিদ উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ রান তুলেও ফেলে। ১৯ রান করা সৌম্যকে ফেরান পেসার রেজাউর রহমান রাজা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে পড়েছে উইকেট। কখনো রাজা তো কখনো এবাদত যোগ দেন উইকেট শিকারে। মাঝে স্পিন নিয়ে হাজির শেখ মেহেদী, উইকেট নেওয়ার প্রতিযোগিতায় তিনিও পিছিয়ে নেই।
এই ৩ জনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪০ এর বেশি করতে পারেনি সেন্ট্রাল জোন। সর্বোচ্চ ৩৮ রান বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর। আব্দুল মজিদের ব্যাটে আসে ২৭ রান। ৪৬ রান খরচায় এবাদতের ৪ উইকেট। সমান ৩ উইকেট রাজা ও শেখ মেহেদীর।