

স্টিভ স্মিথের ৯৪, লাবুশেইন-মার্শের ফিফটি; অস্ট্রেলিয়ার ২৮০। এরপর বল হাতে স্টার্ক, জাম্পার বাজিমাত। নির্ধারিত ওভারের আগেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। ২০৮ রানের বেশি করতে পারেনি, ফলে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৭২ রানের বড় জয়। টানা দুই জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল স্বাগতিকরা। ৪ উইকেটে ম্যাচ সেরা মিচেল স্টার্ক।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক জশ হ্যাজেলউড। শুরুটা ভালোই হয়েছিল স্বাগতিকদের। ইংলিশ অধিনায়ক মইন আলির করা প্রথম ওভারেই উইকেট হারান ডেভিড ওয়ার্নার (১৬)। আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেড আউট হন ব্যক্তিগত ১৯ রানে।
তিনে নামা স্টিভ স্মিথ এরপর জুটি গড়েন মারনাস লাবুশেইনের সঙ্গে। এই দুইয়ের ব্যাটে শতরান হাঁকানো জুটি। ফিফটি হাঁকিয়ে (৫৮) লাবুশেইন আউট হলে ভাঙে ১০১ রানের জুটি। পরের বলেই আদিল রাশিদ তুলে নেন অ্যালেক্স ক্যারির উইকেট। তাকে ফিরতে হয় শূন্যহাতে।
এরপর স্মিথকে সঙ্গ দেন মিচেল মার্শ। সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন স্মিথ। তবে ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে এদিন তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। স্মিথকে ৯৪ রানে ফিরিয়ে আদিল রাশিদ দখলে নেন তৃতীয় উইকেট। ১৩ রানের বেশি পাননি মার্কাস স্টয়নিস।
ফিফটি হাঁকিয়ে বরাবর পঞ্চাশে বিদায় নেন মিচেল মার্শ। শেষদিকে অ্যাস্টন অ্যাগার অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। আর তাতেই ৮ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮০ তে।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন ওপেনার জেসন রয়, ডেভিড মালান। দু’জনেই ডাক হয়ে ফেরত যান। আরেক ওপেনার ফিল সল্টের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। তাকে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক জশ হ্যাজেলউড।
এরপর জেমস ভিন্স আর স্যাম বিলিংসের ব্যাটে স্বস্তি পায় ইংল্যান্ড। ধীরগতির ইনিংসে দু’জনেই পূর্ণ করেন ফিফটি। দলীয় ১৫৬ রানে ভিন্স আউট হলে ভাঙে ১২২ রানের জুটি। ফেরার আগে ৭২ বলে ৬০ রান করেন ভিন্স। অধিনায়ক মইন আলি বিদায় নেন ১০ রান করতেই।
অ্যাডাম জাম্পা এক ওভারে তুলে নেন দুই উইকেট। স্যাম বিলিংস বোল্ড হন ব্যক্তিগত ৭১ রানে। স্যাম কারেন হয়েছেন ডাক। ক্রিস ওকসকে ৭ রানের বেশি করতে দেননি স্টার্ক। শেষদিকে লিয়াম ডসনের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। মাত্র ৩৮.৫ ওভারেই কেবল ২০৮ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশদের ইনিংস। ৭২ রানের বড় জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল স্বাগতিক দল।