

১৯৯২ সালে নিজেদের প্রথম ও এখন অব্দি একমাত্র বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জেতে তারা, তবে পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৯২ বিশ্বকাপই। সেই বিশ্বকাপের সঙ্গে খেলার ফল, ভাগ্যে মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছিল ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। তবে সেমি ফাইনাল অব্দি মিললেও ফাইনালে তা মিলল না।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে হতাশ হয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে বাবর আজমের দলকে। অন্যদিকে ২০১০ সালের পর নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড।
View this post on Instagram
আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। জবাবে বেন স্টোকসের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটিতে ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে আগে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। ৫ম ওভারে ইংল্যান্ডকে উইকেট এনে দেন স্যাম কারেন। ১৫ বলে ১৫ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বোল্ড করেন তিনি।
তিনে নেমে এদিন সুবিধা করে উঠতে পারেননি মোহাম্মদ হারিস। ১২ বলে ৮ রান করে আদিল রশিদের প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি। মেলবোর্নে টার্নিং উইকেটে আদিল নিজের জাত চেনান। পরে ফেরান ২৮ বলে ৩২ রান করা বাবর আজমকেও। ৪ ওভারে মেইডেন সমেত ২২ রান খরচে ২ উইকেট নেন রশিদ।
ইফতিখার আহমেদ ৬ বলে কোন রান না করে আউট হলে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে ৩৬ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে আশা দেখাচ্ছিলেন শান মাসুদ (২৮ বলে ৩৮) ও শাদাব খান (১৪ বলে ২০)। তবে স্যাম কারেন-ক্রিস জর্ডানের দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ে পাকিস্তান বেশিদূর যেতে পারেনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে থামে তারা।
৪ ওভারে ১২ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার স্যাম কারেন। ২ টি করে শিকার আদিল রশিদ, ক্রিস জর্ডান। ১ উইকেট ঝুলিতে পোরেন বেন স্টোকস।
ছোট পুজি নিয়ে বল হাতে শুরুটা দারুণ করে পাকিস্তান। নিজের করা প্রথম ওভারেই অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করে ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদি।
পাওয়ারপ্লেতে ফিল সল্ট (৯ বলে ১০) ও জস বাটলারের উইকেটও তুলে নেয় পাকিস্তান। দুজনকেই ফেরান হারিস রউফ।
হ্যারি ব্রুককে সাথে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের পথে রাখেন বেন স্টোকস। ২৩ বলে ২০ রান করে শাদাব খানের বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ক্যাচ দেন ব্রুক। ক্যাচ ধরতে যেয়ে চোট পান আফ্রিদি, ছাড়েন মাঠ। পরে মাঠে ফিরলেও ১ বলের বেশি করতে পারেননি।
আফ্রিদির ওভারের বাকি ৫ বল করতে গিয়ে ১৩ রান হজম করেন ইফতিখার আহমেদ। সেখান থেকেই জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয় যায় পাকিস্তানের। মইন আলি (১২ বলে ১৯) ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে (২ বলে ১*) সাথে নিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন বেন স্টোকস।
৪৯ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে অপরাজিত ৫২ রান করে ১ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন স্টোকস।
৪ ওভারে ১২ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন স্যাম কারেন। টুর্নামেন্টে ১৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরাও হন তিনি।