

২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পঞ্চম রাউন্ডের দুইটি ম্যাচ ফলে দেখেছে তৃতীয় দিনেই। বরিশালের বিপক্ষে খুলনা ১০ উইকেটে ও সিলেটের বিপক্ষে ঢাকা পেলো ৩৩৩ রানের বড় ব্যবধানে জয়। বাকি দুই ম্যাচের একটিতে ভালো অবস্থানে আছে রংপুর। তবে রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো ম্যাচ এখনো পর্যন্ত সমানে সমান। ৯৭ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি মিস করেছেন রাজশাহীর মুশফিকুর রহিম।
ঢাকা-সিলেট (সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম)
আগেরদিনই সিলেটের জয়ের জন্য লক্ষ্য ঠিক হয় ৪৯৫। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ায় ব্যাটিং করতে নামেনি স্বাগতিকরা। তবে আজ তৃতীয় দিন ব্যাট করে গুটিয়ে গেছে ১৬১ রানেই।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান ওপেনার তৌফিক খান তুষারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ আসে অধিনায়ক জাকির হাসানের ব্যাটে। সিলেটকে মূলত ধ্বসিয়ে দেয় ঢাকার পেসার সুমন খান ও সালাউদ্দিন শাকিল। দুজনে ভাগাভাগি করেন ৩ টি করে উইকেটে, ম্যাচে শাকিএর ৮ উইকেটে সুমনের ৭। এতেই নিশ্চিত হয় সিলেটের ৩৩৩ রানের পরাজয়।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ঢাকা অলআউট হয় ১১৩ রানে। জবাবে সিলেট নিজেদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৭৬ রানে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪৫৭ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।
খুলনা-বরিশাল (শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম রাজশাহী)
খুলনার প্রথম ইনিংসে ৩১৫ রানের জবাবে বরিশাল ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে ফলো অনে পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসেও বিপাকে, ৩ উইকেটে ৪৬ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল।
ইনিংস হার এড়াতে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ১২৪ রান করতে হত বরিশালের। মইন খানের সেঞ্চুরি ও সালমান হোসেন ইমনের ফিফটিতে সেটি পেরেছেও তারা। ১২৩ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ১০২ মিডল অর্ডার ব্যাটার মইনের নামের পাশে। অন্যদিকে ১৮৭ বলে ৮ চারে সালমান করেন ৭৭ রান। স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রান।
আল আমিন হোসেন ৩ টি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও নাহিদুল ইসলাম নেন ২ টি করে উইকেট।
ইনিংস হার এড়িয়ে খুলনার জন্য ৮৭ রানের লক্ষ্যও দেয় বরিশাল। যা ২৮.২ ওভারে বিনা উইকেটে তারা করে খুলনা। ৭১ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৫৬ রানে হাসানুজ্জামান ও ৯৯ বলে ৫ চারে অমিত মজুমদার অপরাজিত ৩৩ রানে।
চট্টগ্রাম-রংপুর (বিকেএসপি- ৪ নম্বর)
আগে ব্যাট করা চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১০০ রানে। জবাবে ৭ উইকেটে ৩৬৩ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে রংপুর। নাইম ইসলাম ১৩১ ও ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন রবিউল হক।
আজ তৃতীয় দিন রংপুর আর ব্যাট করেনি। ২৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা চট্টগ্রাম দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ২২২ রান তুলে। দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও সৈকত আলি ১৭৪ রানের জুটি গড়েন। পিনাক সেঞ্চুরি পেলেও আক্ষেপে পুড়েছেন সৈকত।
২৬৪ বলে ১০ চারে ১০৩ রান পিনাকের। ১৭৮ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় ৭৮ সৈকতের ব্যাটে।
দুজনের বিদায়ের পর অবশ্য দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ব্যর্থ হন পারভেজ হোসেন ইমন ২৩ রান করলেও শাহাদাত হোসেন দিপু থামেন ৯ রানে। ইনিংস হার এড়াতে এখনো প্রয়োজন ৪১ রান, হাতে ৬ উইকেট। শূন্য রানে হাসান মুরাদ ও ৩ রানে অপরাজিত ইরফান শুক্কুর।
রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো (শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার)
প্রথম ইনিংসে রাজশাহীর ২৫২ রানের জবাবে ৭ উইকেটে ৩৬৭ রান তুলে ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় দিন শেষ করে। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ তৃতীয় দিন অবশ্য মাত্র ৬ রান যোগ করতে বিপ্লব সহ বাকি ৩ উইকেট হারায় মেট্রো। ১৬২ বলে ১০ চার ১ ছক্কায় ৮০ রানে থামেন বিপ্লব, মেট্রো ৩৭৩ রানে। রাজশাহীর হয়ে নাহিদ রানা নেন ৫ উইকেট।
১২১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রাজশাহী দিন শেষ করে ৭ উইকেটে ২৫৯ রান তুলে। নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়েন মুশফিকুর রহিম। ১৫৫ বলে ১২ চারে সাজান ৯৭ রানের ইনিংসটি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান এসেছে সাব্বির রহমানের ব্যাটে। এ ছাড়া ৩৪ রান করেন জহরুল ইসলাম। ২০ রানে অপরাজিত আছেন সানজামুল ইসলাম। এখনো অবধি রাজশাহীর লিড ১৩৮ রানের।