জাতীয় লিগে একদিনে পাঁচ সেঞ্চুরি

নাইমের ধৈর্যের প্রদর্শনী, অশান্ত হয়ে সাজঘরে শান্ত
Vinkmag ad

২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিন বোলারদের দখলে ছিল। তবে আজ (৮ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিন রাজত্ব করেছে ব্যাটাররা। সেঞ্চুরি এসেছে শুভাগত হোম, আব্দুল মজিদ, নাইম শেখ, নাইম ইসলাম ও মোহাম্মদ শরিফুল্লাহর ব্যাটে।

ঢাকা-সিলেট (সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম)

৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ১১৩ রান তুলে দিন প্রথম দিন শেষ করেছিল ঢাকা। ৫৯ রানে জয়রাজ শেখ ও ৪৯ রানে আব্দুল মজিদ অপরাজিত ছিলেন।

আগের দিনের ১২২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিটি আজ (১৩৪ রানে) ভাঙে জয়রাজ আউট হলে। ৮৬ বলে ১০ চার ১ ছক্কায় ৭৩ রান তার ব্যাটে। দ্রুতই ফেরেন রাকিবুল হাসান (০) ও তাইবুর রহমান (০)।

১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪ উইকেটে ১৩৬ রানে পরিণত হয় ঢাকা। তবে সেখান থেকে মজিদ ও শুভাগত হোমের ২৫৪ রানের জুটি। তাতে দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ২৭৭ বলে ১১ চার ৭ ছক্কায় ১৭৬ রান করেন মজিদ। যা তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি।

অন্যদিকে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শুভাগত ১৮২ বলে ১৬ চার ৩ ছক্কায় ১৪৫ রান করে বোল্ড হন সিলেটের সেরা বোলার মহিউদ্দিন তারেকের বলে। এরপর ঢাকা অলআউট হয় ৪৫৭ রানে। মহিউদ্দিন তারেকের ৪ উইকেট শিকার ১১৪ রানে। ৩ উইকেট নেন ৫৮ রানে শাহানুর রহমান।

সিলেটের জন্য লক্ষ্য ঠিক হয় ৪৯৫ রানের। তবে এ দিন আর ব্যাটিং করতে নামেনি স্বাগতিকরা। শেষ দুই দিনে জয়ের জন্য তাদের পাহাড়সম রান তাড়া করতে হবে।

চট্টগ্রাম-রংপুর (বিকেএসপি- ৪ নম্বর)

প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের ১০০ রানের জবাবে রংপুর ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল। ৩৮ রানে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তানবির হায়দার।

আজ দলীয় স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ হওয়ার আগেই ফিরেছেন মামুন। বেশি দূর যেতে পারেননি তানবিরও, থামেন ২৮ রানে। তবে মিডল ও লোয়ার অর্ডারের দারুণ সঙ্গ পেয়ে নাইম ইসলাম হাঁকান প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি।

২৫১ বলে ১১ চার ১ ছক্কায় ১৩১ রানে অপরাজিত আছেন নাইম। তাকে সঙ্গ দিয়ে নাসির হোসেন ৪৮, আরিফুল হক ৩০, সোহরাওয়ার্দী শুভ ২৫ রান করেন।

দ্বিতীয় দিন শেষে নাইমের সাথে অপরাজিত আছেন ২৮ রান করা রবিউল হক। ৭ উইকেটে রংপুরের স্কোরবোর্ডে ৩৬৩। ইতোমধ্যে হাতে ৩ উইকেত নিয়ে লিড ২৬৩ রানের। চট্টগ্রামের হয়ে পেসার মেহেদী হাসান নেন ৩ উইকেট।

রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো (শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার)

তানজিদ হাসান তামিমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে রাজশাহী পায় ২৫২ রানের সংগ্রহ। জবাবে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল ঢাকা মেট্রো। ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার নাইম শেখ।

আজ আরেক ওপেনার রাকিন আহমেদকে দিয়ে জুটিতে আরও ৫০ রান যোগ করেন নাইম। যেখানে সবমিলিয়ে ৬০ রানের জুটিতে রাকিনের অবদান মাত্র ৩।

রাকিনের বিদায়ের পর আইচ মোল্লার সাথে ৫৫ রানের জুটি নাইমের, মোল্লা ফেরেন ২৩ রান করে। এরপর আরও ৪৫ যোগ করেন শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে। এবার নিজে আউট হলে ভাঙে জুটি। ততক্ষণে নামের পাশে ১০৫ বলে ৯ চার ৫ ছক্কায় ১১২ রান।

শুভ ৩৪ রানের বেশি করতে পারেননি, জাহিদুজ্জামানও ব্যর্থ (১২)। ১৯০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মোহাম্মদ শরিফুল্লাহর ১৭৭ রানের জুটি। ১২৯ বলে ১১ চার ৩ ছক্কায় ঠিক ১০০ রান করে শরিফুল্লাহ আউট হন। তবে সেঞ্চুরির পথে অপরাজিত আছেন বিপ্লব, ৭ উইকেটে মেট্রোর ৩৬৭ রান দিন শেষে। ১৫৫ বলে ১০ চার ১ ছক্কায় বিপ্লব অপরাজিত ৭৮ রানে। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ইতোমধ্যে তাদের লিড ১১৫ রানে।

খুলনা-বরিশাল (শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম রাজশাহী)

টস জিতে আগে ব্যাত করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল খুলনা। ৪০ রানে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও ১ রানে অপরাজিত ছিলেন টিপু সুলতান।

আজ দ্বিতীয় দিন মৃত্যুঞ্জয় আর ৩ রান যোগ করে আউট হন। পরে টিপু সুলতান খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। তাতে অলআউট হওয়ার আগে খুলনার স্কোরবোর্ডে ৩১৫।

এই রানের জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে বরিশাল গুটিয়ে গেছে ১৪৫ রানেই। ফলো অনে পড়া ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রান সোহাগ গাজীর ব্যাটে। খুলনার হয়ে সমান তিনটি কর উইকেট আল আমিন হোসেন ও আশিকুর জামানের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও বিপাকে বরিশাল। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৪৬ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে এখনো প্রয়োজন ১২৪ রান।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

‘আইপিএলে প্রতি ম্যাচে ৩ উইকেট করে পাবেন তাসকিন’

Read Next

শাহরুখ খানের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ফের হারল মিঠুনরা

Total
1
Share