

২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পঞ্চম রাউন্ড মঠে গড়িয়েছে আজ (৭ নভেম্বর)। প্রথম দিনে ঝলক দেখিয়েছে বোলাররা, চার ম্যাচে ৩ বোলার নিয়েছেন ৫ উইকেট। দিনে একমাত্র সেঞ্চুরি রাজশাহী বিভাগের তানজিদ হাসান তামিমের।
ঢাকা-সিলেট (সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম)
এই ম্যাচে প্রথম দিনে পড়েছে ২১ উইকেট, শুরু হয়ে গেছে তৃতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ঢাকা অলআউট হয়েছে ১১৩ রানে। ৫ ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন সাঝঘরে। সর্বোচ্চ ৪১ ওপেনার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নাদিফ চৌধুরী।
বল হাতে সিলেটের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। আরেক বাঁহাতি নাভিল সামাদের শিকার ২ উইকেট। পেসার আবু জায়েদ রাহী নেন ৩ টি।
জবাবে প্রথম ইনিংসে সিলেটের অবস্থা আরও শোচনীয়। ৭৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে বল হাতে আগুন ঝরালেন দুই পেসার সুমন খান ও সালাউদ্দিন শাকিল। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান আল আমিন জুনিয়রের ব্যাটে।
১৪ রানে শাকিলের ৫ উইকেট, সুমন ৪ উইকেট নেন ৩৮ রান খরচায়।
৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা ঢাকা অবশ্য বিপরীত চিত্র দেখিয়েছে। ১ উইকেটে ১১৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে। ওপেনার অঙ্কন খালি হাতে ফিরলে ১১২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি জয়রাজ শেখ ও আব্দুল মজিদের।
জয়রাজ অপরাজি ৬৬ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ৫৯ রানে। ৪৯ বলে ৪ চার ৩ ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত আব্দুল মজিদ। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে তাদের লিড ইতোমধ্যে ১৫০।
চট্টগ্রাম-রংপুর (বিকেএসপি- ৪ নম্বর)
টস জিতে আগে ব্যাট করা চট্টগ্রামকে প্রথম ইনিংসে কোনোমতে ১০০ করতে দেয় রংপুরের বোলাররা। বিশেষ করে পেসার রবিউল হক ছিলেন দুর্দান্ত, একাই নেন ১৩ রান খরচায় ৫ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
চট্টগ্রামের হয়ে বাঁহাতি ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। ২২ রান এসেছে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ছিটকে যাওয়া সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে।
৩৪ ওভার ব্যাট করে রংপুর ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৫৭ রান। আব্দুল্লাহ আল মামুন ১০৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ৮৪ বলে ৯ রান করা তানবির হায়দার। হাতে ৯ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে আছে ৪৩ রানে।
রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো (শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার)
টস হেরে আগে ব্যাট করা রাজশাহী তানজিদ হাসান তামিমের সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে পায় ২৫২ রানের সংগ্রহ। রাজশাহীর ৫ ব্যাটার খালি হাতে ফিরলেও যারা ক্রিজে টিকেছেন তারা অন্তত মাঝারি মানের ইনিংস খেলেছেন বলে দল লড়াকু পুঁজি পায়।
যেখানে সবচেয়ে বড় অবদান ১৩৭ বলে ৬ চার ৭ ছক্কায় ১০১ রান করা তামিমের। এই বাঁহাতি ব্যাটারের এটি দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি। এর বাইরে ওপেনার জহরুল ইসলাম ৪৫, মুশফিকুর রহিম ৪৩ ও সানজামুল ইসলাম ৪০ রান করেন।
ঢাকা মেট্রোর হয়ে ৫৯ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের। সমান ৩ টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি ও মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ।
এরপর দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে মেট্রো ব্যাট করতে পারে মাত্র ৩ ওভার। তাতে বিনা উইকেটে সংগ্রহ ১০ রান। ১২ বলে ১০ রানে অপরাজিত নাইম শেখ।
খুলনা-বরিশাল (শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম রাজশাহী)
বাকি তিন ম্যাচে দুই দলই নিজেদের প্রথম ইনিংস ব্যাট করেছে প্রথম দিনেই। তবে এই ম্যাচে আছে ব্যতিক্রম। টস হেরে ব্যাট করা খুলনা বিভাগ প্রথম দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে। এই সংগ্রহের পথে কোনও সেঞ্চুরিতো নয়ই, ছিল না কোনো ফিফটিও।
ওপেনার অমিত মজুমদার খালি হাতে ফিরলে আরেক ওপেনার হাসানুজ্জামান আউট হন ৪৫ রান করে। যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
এর বাইরে বেশ কিছু মাঝারি মানের ইনিংস আছে খুলনা ব্যাটারদের। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৩০, ইমরানুজ্জামান ২০, নাহিদুল ইসলাম ৪১, জাওয়াদ রোয়েন ৪০ ও জিয়াউর রহমান থামেন ৩৬ রানে।
দিন শেষে ৪০ রানে অপরাজিত আছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তাকে সঙ্গ দেওয়া টিপু সুলতান অপরাজিত ১ রানে।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সোহাগ গাজীর।