রুমানা-জ্যোতিদের বাবা-ভাই-বন্ধু হয়ে কাজ করতে চান তিলকারত্নে

received 1135825757307357
Vinkmag ad

শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী ক্রিকেটার হাসান তিলকারত্নে বাংলাদেশ নারী দলের কোচ হয়ে যোগ দিয়েছেন চলতি মাসে। সামনেই নারীদের নিউজিল্যান্ড সফর, তার আগে মিরপুরে চলছে ক্যাম্প। তিলকারত্নে জানান সাফল্য পেতে কোচের বাইরে ক্রিকেটারদের ভাই, বাবা কিংবা বন্ধুর ভূমিকাও পালন করতে চান।

বাংলাদেশে আসার আগে তিলকারত্নে নিজ দেশ শ্রীলঙ্কা নারী দলের কোচ ছিলেন। গত মাসে সিলেটে শেষ হওয়া নারী এশিয়া কাপে তার অধীনে ফাইনাল খেলে শ্রীলঙ্কা। ১৫ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনাল ছিল লঙ্কান নারীদের জন্য। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভারতের কাছে হেরে রানার আপেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।

এই একই টুর্নামেন্টে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলতে নেমে স্বাগতিক বাংলাদেশ লিগ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে। তবে টুর্নামেন্ট শেষে বিসিবির আগ্রহে তিলকারত্নে লঙ্কা ছেড়ে পাড়ি জমালেন বাংলাদেশে। আজ (৭ নভেম্বর) মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন কাজ করার নিজস্ব ধরণ নিয়ে।

তিনি বলেন, ‘আপনাকে প্রথমে অবশ্যই তাদের মানসিকতা এবং স্কিল বুঝতে হবে। এই দুটো জিনিস বুঝতে হলে তাদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সাধারণত কোচ ছাড়াও আমি কয়েকটা ভূমিকা পালন করি। আমি তাদের বাবা, ভাই এবং বন্ধু। তাদের সঙ্গে আপনাকে কথা বলতে হবে, আত্মবিশ্বাস দিতে হবে।’

মেয়েদের রানিং বিটুইন দ্যা উইকেট নিয়ে আজ কাজ করতে দেখা গেছে তিলকারত্নকে। সালমা খাতুন, জাহানারা আলমদের প্রান্ত বদল করে সিঙ্গেল নেওয়ায় ঘাটতি পুরোনো সমস্যা। সেটাই কাটানোর চেষ্টা করছেন লঙ্কান কিংবদন্তী।

তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি স্ট্রাইক রোটেইটের দিকে নজর দিচ্ছি। এই জায়গাটায় কীভাবে উন্নতি করা যায় সেটা দেখছি। পরিকল্পনা খুবই পরিস্কার। পাওয়ার হিটিং এবং স্ট্রাইক রোটেইট, গ্যাপে খেলা এসব তাদের দুর্বল জায়গা। আমি চেষ্টা করব এসব জায়গায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে।’

চলতি মাসের শেষদিকে নিউজিল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ নারী দল। খেলবে সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। ওখানকার বিরুদ্ধ কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে দলের ক্রিকেটারদের ধারণা আছে বলছেন কোচ।

তার ভাষায়, ‘হ্যাঁ, আমরা ওখানে বেশি ম্যাচ খেলেনি। কিছু ব্যাপার নিয়ে আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা সবাই জানি নিউজিল্যান্ডে কন্ডিশন কতটা কঠিন। তারা জানে সেখানে চ্যালেঞ্জটা কেমন হবে। তারা এটাও জানে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেখানে কীভাবে মানিয়ে নিতে হবে।’

ছেলেদের ক্রিকেটের সাথে মেয়েদের ক্রিকেটকে এক না করার পরামর্শ তিলকারত্নের। তার মতে রাতারাতি সাফল্য নয় প্রয়োজন ধৈর্য্যের।

তিনি জানান, ‘সব সময় ফলের দিকে তাকিয়ে থাকা (সঠিক প্রক্রিয়া না)। আমরা সব সময় ছেলেদের ক্রিকেটের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলি। এটা আমি মনে করি ঠিক না। আমরা সবাই জানি, এখানে সময়ের দরকার, ধৈয্য দরকার।’

দুর্দান্ত খেলোয়াড়ী জীবন শেষে কোচ, ম্যানেজার, বোর্ড কর্তা হিসেবে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে কাজ করে আসছেন সাবেক এই ব্যাটার। আগামী দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন বাংলাদেশের সাথে। বিসিবি তার উপর আস্থা রাখায় প্রকাশ করেছেন কৃতজ্ঞতা।

‘আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ। এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি কোচিং পেশাটা উপভোগ করি। বিশেষ করে মেয়েদের ক্রিকেট একটু অন্য রকম। এখানে আপনাকে ধৈয্য ধরতে হয়। আমি তাদেরকে কয়েকবার দেখেছি। আশা করি, তাদের সঙ্গে সময়টা ভালো যাবে।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

স্মরণীয় জয়ের স্মৃতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেন স্টেফান মাইবার্গ

Read Next

জাতীয় লিগে তিন ৫ উইকেটের দিনে তামিমের সেঞ্চুরি

Total
1
Share