

তামিলনাড়ু একাদশের বিপক্ষে চারদিনের সিরিজ শেষে মাঠে গড়িয়েছে একদিনের সিরিজও। গতকাল (৬ নভেম্বর) প্রথম ম্যাচে অবশ্য ১১ রানে হেরেছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। বৃথা গেল সাইফ হাসান ও জাকের আলি অনিকের ফিফটি।
চারদিনের ম্যাচের মতো একদিনের ম্যাচগুলোও অনুষ্ঠিত হচ্ছে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে।
চারদিনের ম্যাচে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাদের মূল রাজ্য দল খেলায়নি। তবে ওয়ানডে সিরিজে আইপিএল খেলা নারায়ণ জগদীশ, অপরাজিত বাবা, রামসিং সঞ্জয়, সাই কিশোর, শাহরুখ খানদের সাথে আছেন ভারত জাতীয় দলের পেসার থাঙ্গারাসু নটরাজন।
আগে ব্যাট করে তামিলনাড়ু একাদশ ৯ উইকেটে তোলে ২৪২ রান। সর্বোচ্চ ৫১ অধিনায়ক ইন্দ্রজিতের। জবাবে বিসিবি একাদশ অলআউট ২৩১ রানে। জাকের আলি ৮৬ ও সাইফ ৭২ রান করেন। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় পরাজিত দলেই থাকতে হয়েছে তাদের।
তামিলনাড়ু ৬৩ রানে ৩ উইকেট হারায়। চতুর্থ উইকেটে ইন্দ্রজিত ও শাহরুখ খানের ৬৪ রানের জুটি। ৪৩ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন শাহরুখ।
কৌশিকের সাথে পঞ্চম উইকেটে ইন্দ্রজিতের ৫৬ রানের জুটি। এবার জুটি ভাঙে ইন্দ্রজিতের বিদায়ে। ৫১ রানের ইনিংসটি সাজান ৭৩ বলে মাত্র ২ চারে। কৌশিক অবশ্য ফিফটির আগেই থামেন ৫৫ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় ৪৬ রানে। শেষ দিকে আই কিশোরের ২৬ রানে ৯ উইকেটে ২৪২ রান তাদের স্কোরবোর্ডে।
বিসিবি একাদশের হয়ে ৫০ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেসার রেজাউর রহমান রাজার।
লক্ষ্য তাড়ায় বনামা বিসিবি একাদশকে চেপে ধরে তামিলনাড়ু বোলাররা। সাইফ হাসান ও জাকের আলি অনিক ছাড়া দাঁড়াতে পারেনি কেউই। ৪০ রানে নেই ৫ উইকেট, আউট হওয়া এই পাঁচ ব্যাটারের কেউই ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্ক।
সেখান থেকে সাইফ-জাকেরের ৯০ রানের জুটি। ৯০ বলে ৬ চার ৩ ছক্কায় সাইফ থামেন ৭২ রানে। এরপর লেজের ব্যটারদের নিয়ে লড়াইটা একাই করেছেন জাকের। ফিফটি তুলে সেঞ্চুরির দিকেও এগোচ্ছিলেন।
কিন্তু শেষ ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হতেই নিশ্চিত হয় দলের পরাজয়। তখনো বল বাকি ছিল তিনটি। ১১৫ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৮৬ রানে থামেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার।পুরো বিসিবি একাদশ ইনিংসে জাকের-সাইফ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল নাইম হাসান (১৩)।
২৩১ রানে বিসিবি একাদশকে গুটিয়ে দেওয়ার পথে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নটরাজনের। দুইটি করে নেন সন্দীপ ওয়ারিয়ার, সাই কিশোর ও রামসিং সঞ্জয়।