‘আম্পায়াররা দেখেও দেখছে না’

featured photo update 2
Vinkmag ad

চলতি বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের কমতি নেই। দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে বেশিরভাগ সময়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে বিদায় নেওয়া ম্যাচেও ঘটেছে এমন কিছু। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তেই সাকিব আল হাসানকে ফিরতে হয়েছে গোল্ডেন ডাক নিয়ে। এরপর ছন্দ হারানো বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ম্যাচ শেষে এবাদত হোসেন জানালেন এসব মেনে নেওয়া কঠিন। এই পেসার আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তুলেছেন।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ভিরাট কোহলির ফেইক ফিল্ডিংয়ের সাজা হিসেবে ৫ রান পায়নি বাংলাদেশ। আম্পায়ারের দাবি তারা খেয়াল করেনি। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে দ্রুত খেলা শুরু করার তাড়াও ছিল আম্পায়ারদের। ভেজা মাঠে খেলিয়ে দেওয়া হয় অনেকটা জোর করে।

এসবের রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে নতুন বিতর্ক। এবার ভুল সিদ্ধান্তের শিকার টাইগার দলপতি সাকিব।

টস জিতে অ্যাডিলেডে ব্যাট করছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের ১১তম ওভারের ঘটনা, আগের বলে সৌম্য সরকারকে ফেরানো শাদাব খান এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করেন সাকিবের বিপক্ষে।

ডাউন দ্য উইকেটে এসে ফুলার লেংথের বল লেগ সাইডে খেলতে চান। পরাস্ত হলে পাকিস্তানের আবেদনে শেষ মুহূর্তে আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু সাথে সাথেই রিভিউ নেন সাকিব।

টিভি রিপ্লে দেখাচ্ছিল ব্যাটে বলের স্পর্শ ছিল। অন্যদিকে বল ও ব্যাট একসাথে মাটিতেও ছিল না। তবুও আম্পায়ার বিষয়টি আমলেই নেয়নি, এমনকি সাকিবের ৩ মিটারের বেশি এগিয়ে আসাও ছিল না বিবেচনায়।

থার্ড আম্পায়ারের এমন খামখেয়ালিতে ফিরতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। এরপর ছন্দ হারায় টাইগাররা, ১ উইকেটে ৭৩ থেকে ৮ উইকেটে ১২৭ রানে থামতে হয়। বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ১১ বল আগেই। যে জয়ে সেমি-ফাইনাল খেলা হচ্ছে পাকিস্তানের।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বাংলাদেশ পেসার এবাদত হোসেন নিজের রাগ, অভিমান উগরে দিলেন। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও মত তার।

টুর্নামেন্টে আজ প্রথম ম্যাচ খেলা এই পেসার জানান, ‘দেখেন, এরকম একটা আউট মেনে নেওয়ার মতো না। শেষ ম্যাচেও ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে, অনেকগুলোই আমাদের বিপক্ষে গেছে। এমন সিদ্ধান্ত যদি প্রতি ম্যাচে হয় তাহলে আমাদের মতো দলের ফিরে আসা কঠিন। সাকিব ভাই আমাদের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার উনার আউট এমন হলে আমাদের জন্য বড় ক্ষতি।’

‘স্বাভাবিক না? (হতাশ হওয়া) দেখেন আম্পায়ার দেখেও দেখছে না। দেখেও ভুল করছে। এগুলো তো আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছে সবকিছু। সব সিদ্ধান্ত আপনাকে মেনে নিতে হবে।’

সাকিব উইকেটে থাকলে দ্রুত পরের উইকেটগুলো পড়তো না বিশ্বাস এবাদতের, ‘সাকিব ভাই যদি উইকেটে থাকতো, তাহলে আমাদেরও বাকি উইকেটগুলো পড়তো না। উনার উইকেট আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উনার উইকেটের পরই কিন্তু আরও দুইটা উইকেট পড়ে গেছে। উনি যদি উইকেটে থাকতো, সিদ্ধান্তটা আমাদের পক্ষে আসলে তো বাকি উইকেটগুলো পড়তো না।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

শেষ করতে না পারার আক্ষেপ শান্তর

Read Next

সিনিয়রবিহীন বিশ্বকাপে নিজেদের কোথায় দেখছেন আফিফরা?

Total
1
Share