বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে পাকিস্তান

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে পাকিস্তান
Vinkmag ad

ভারতের কাছে ৫ রানে হারের পরও বাংলাদেশের সেমি-ফাইনাল খেলার সুযোগ ছিল। সে ক্ষেত্রে পাড়ি দিতে হত কঠিন সমীকরণ, ধারণা করা হচ্ছিল অসম্ভব। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের জয় সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দেয়। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ রূপ নেয় অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে, বিজয়ী দল সরাসরি সেমি-ফাইনালে। এমন সহজ সমীকরণও মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ, ৫ উইকেটে হেরে শেষ করলো এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন।

নাজমুল হোসেন শান্তর ধীর গতির ফিফটিতে মান বাঁচানো ৮ উইকেটে ১২৭ রানের পুঁজি বাংলাদেশের। তার ৫৪ রানের সাথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ বলে ২৪ আফিফ হোসেনের। যা ৫ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখেই তাড়া করে পাকিস্তান। গ্রুপ-২ থেকে ভারতের পর সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হল পাকিস্তানের।

অ্যাডিলেডে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত টাইগার দলপতি সাকিবের। বাংলাদেশ একাদশে জায়গা হারালেন হাসান মাহমুদ, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি ও শরিফুল ইসলাম। ফিরেছেন সৌম্য সরকার। টুর্নামেন্টে প্রথম খেলছেন নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তাসকিনের করা প্রথম ওভারেই খালি হাতে ফিরতে পারতেন পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। উইকেটের পেছনে তার সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন নুরুল হাসান সোহান।

জীবন পেয়ে আরেক ওপেনার বাবর আজমকে নিয়ে ১০.৩ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান যোগ করেন রিজওয়ান। বাঁহাতি স্পিনার নাসুমের বলে বাবর ফিরেছেন ৩৩ বলে ২৫ রান করে। পরের ওভারে রিজওয়ানকে (৩২ বলে ৩২) ফেরান পেসার এবাদত।

৬১ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে সহজ জয়ের দিকেই নিচ্ছিলেন মোহাম্মদ হারিস। তাকে সঙ্গ দেওয়া নওয়াজ ১১ বলে ৪ রান করে ফেরেন লিটনের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে।

শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন ৩৪, হাতে ৭ উইকেট। ক্রিজে সেট ব্যাটার হারিস।

এমন পরিস্থিতিতে যা হওয়ার তাই হল। ১৮ বলে ৩১ করা হারিসের সাথে ইফতিখার আহমেদের (১) বিদায়েও সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। ১৪ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থেকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শান মাসুদ।

এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরুর আভাস লিটন-শান্তর। শাহীন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে গালিতে ক্যাচ দিয়ে লিটন (৮ বলে ১০) ফিরলে ভাঙে ২১ রানে জুটি।

ওয়াসিম জুনিয়রের করা পরের ওভারের প্রথম বলে জীবন পান শান্তও (তখন ১১ রানে)। এরপর অবশ্য সৌম্যকে নিয়ে সাবলীল খেলার চেষ্টা করেন। শাদাব খানের করা ১১তম ওভারেই বিপত্তি। টানা দুই বলে ফেরেন সৌম্য (১৭ বলে ২০) ও সাকিব (১ বলে ০)। শান্ত-সৌম্যের জুটি ৫২ রানের।

গোল্ডেন ডাক পাওয়া সাকিবের আউট নিয়ে আছে বিতর্ক, থার্ড আম্পায়ার দিয়েছেন ভুল সিদ্ধান্ত। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ফুলার লেংথের বল লেগ সাইডে খেলতে চান। পরাস্ত হলে পাকিস্তানের আবেদনে শেষ মুহূর্তে আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু সাথে সাথেই রিভিউ নেন সাকিব।

টিভি রিপ্লে দেখাচ্ছিল ব্যাটে বলের স্পর্শ ছিল। অন্যদিকে বল ও ব্যাট একসাথে মাটিতেও ছিল না। তবুও আম্পায়ার বিষয়টি আমলেই নেয়নি, এমনকি সাকিবের ৩ মিটারের বেশি এগিয়ে আসাও ছিল না বিবেচনায়।

এরপর ছন্দ হারায় টাইগাররা, শান্ত ৪৬ বলে ফিফটি তুলেও বেশি দূর যেতে পারেননি। ৪৮ বলে ৭ চারে থামেন ৫৪ রানে। ১৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৯৯!

শেষ ৫ ওভারে আরও মলিন টাইগাররা, শাহীন শাহর তোপে ৫ উইকেট হারিয়ে করতে পারে মাত্র ২৮ রান। আফিফের ব্যাটে ২০ বলে অপরাজিত ২৪ রান। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট শাহীনের।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

সাকিবকে দুর্ভাগা বলছেন রবি শাস্ত্রী, আকাশ চোপড়ারা

Read Next

‘আমাদের কিছু বলার নাই, যত যাই করি…’

Total
1
Share