

জিতলেই সেমি-ফাইনাল এমন সমীকরণ নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। আগেরদিনও সেমির পথটা বেশ কঠিন ছিল, আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সে পথটা সহজ করে দেয় নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ রূপ নেয় অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে, বিজয়ী দল সেমিতে। এমন ম্যাচেও আগে ব্যাট করে ব্যর্থ বাংলাদেশ, দেওয়া যায়নি ১২৮ রানের বেশি লক্ষ্য।
নাজমুল হোসেন শান্তর ধীর গতির ফিফটিতে ভর করে মান বাঁচানো ৮ উইকেটে ১২৭ রানের পুঁজি বাংলাদেশের। তার ৫৪ রানের সাথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ বলে ২৪ আফিফ হোসেনের।
অ্যাডিলেডে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ একাদশে জায়গা হারালেন হাসান মাহমুদ, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি ও শরিফুল ইসলাম। ফিরলেন সৌম্য সরকার, নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরুর আভাস লিটন-শান্তর। শাহীন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে গালিতে ক্যাচ দিয়ে লিটন (৮ বলে ১০) ফিরলে ভাঙে ২১ রানে জুটি।
মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের করা পরের ওভারের প্রথম বলে জীবন পান শান্তও (তখন ১১ রানে)। শর্ট এক্সট্রা কাভারে লুফে নিতে পারেননি শাদাব খান।
এরপর অবশ্য ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার সৌম্যকে নিয়ে সাবলীল খেলার চেষ্টা শান্তর। ইনিংসের ৮ম ওভারে দলীয় রান পেরোয় ৫০। ১১তম ওভারে দুজনের জুটিও পূরণ করে ফিফটি। শাদাব খানের করা ঐ ওভারেই রিভার্স প্যাডেল খেলতে গিয়ে পয়েন্টে শান মাসুদের হাতে ধরা পড়েন সৌম্য (১৭ বলে ২০)। তাতে ভাঙে ৫২ রানের জুটি।
পরের বলে এলবিডব্লিউ সাকিব আল হাসান (১ বলে ০), জাগে হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা। সাকিব অবশ্য রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ফুলার লেংথের বল লেগ সাইডে খেলতে চান। পরাস্ত হলে পাকিস্তানের আবেদনে শেষ মুহূর্তে আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু সাথে সাথেই রিভিউ নেন টাইগার দলপতি।
টিভি রিপ্লে দেখাচ্ছিল ব্যাটে বলের স্পর্শ ছিল। তবে ব্যাট ও বল একই সাথে মাটিতে থাকায় আম্পায়ার বিষয়টি আমলেই নেয়নি, এমনকি সাকিবের ৩ মিটারের বেশি এগিয়ে আসাও ছিল না তার আমলে। বিতর্কিত সিদ্ধান্তেই ফিরতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
এরপর ছন্দ হারায় টাইগাররা, শান্ত ৪৬ বলে ফিফটি তুলেও বেশি দূর যেতে পারেননি। ৪৮ বলে ৭ চারে থামেন ৫৪ রানে। ১৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৯৯!
এরপর শাহীন শাহর করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে ১১ বলে ৫ রান করা মোসাদ্দেক ও ৩ বলে কোনো রান না করা সোহানের উইকেট হারিয়ে আরও বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। এ ওভারে রান আসে মাত্র ১! নিজের শেষ ওভার করতে এসে শাহীন ফেরান তাসকিনকেও (৫ বলে ১)। ৪ ওভার শেষে বোলিং ফিগার ৪-০-২২-৪।
শেষ অবধি আফিফের অপরাজিত ২৪ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশ। শাহীনের ৪ উইকেট ছাড়াও ২ উইকেট শাদাবের।