

শ্রীলঙ্কার পরাজয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্নভঙ্গ! এসসিজিতে ইংলিশদের রুখে দিতে পারলো না লঙ্কানরা। আর তাতেই বিশ্বকাপ শেষ স্বাগতিকদের। দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমির মঞ্চে ইংল্যান্ড। সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিততে হল ইংল্যান্ডকে। ৪২ করে জয়ের নায়ক স্টোকস।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনারের ব্যাটে শুরুটাও হয় দাপুটে। তবে ১৮ রানে থাকা কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ক্রিস ওকস। তিনে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৯) স্যাম কুরানের বলে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন স্টোকসের হাতে।
দ্রুতই ফিরতে হয় চারিথ আসালাঙ্কাকেও (৮)। এরমাঝেই ফিফটি পূর্ণ করেন পাথুম নিসাঙ্কা। আদিল রাশিদের শিকার হন ৬৭ রান করা নিসাঙ্কা। ৪৫ বলে ৫ ছয় ও ২ চারে সাজানো তার এই ইনিংস। ভানুকা রাজাপাকসের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২২। এদিন অবশ্য তিন রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৯ করতেই রান আউটে কাটা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। বল হাতে ইংলিশ পেসার মার্ক উড একাই দখলে নেন ৩ উইকেট, কেবল ২৬ রান খরচায়।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটে ওঠে ঝড়! তাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক জস বাটলার। পাওয়ার-প্লে শেষে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ড ৭০/০। অর্থাৎ টার্গেটের প্রায় অর্ধেক ওঠে যায় প্রথম ৬ ওভারেই। ষষ্ঠ ওভারে কাসুন রাজিথাকে তুলোধোনা করে হেলস তুলেন ২০ রান।
ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৭৫ রানে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার শিকার হয়ে বিদায় নেন ২৮ রানে থাকা জস বাটলার। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে হাসারাঙ্গা ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান হেলসকেও। ৩ রানের জন্য ফিফটি হয়নি হেলসের। ৩০ বলের ইনিংসে হেলস হাঁকান ৭ চার ও ১ ছয়। হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোন পাননি ৪ রানের বেশি।
৫ বল খেলে ১ করে বিদায় নেন মইন আলি। ৬ রান করতেই আউট স্যাম কুরান। বিপরীতে বেন স্টোকস একা হাতে টানেন দলকে। ৪২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে এনে দিলেন ৪ উইকেটের জয়।