

রাশিদ খানের ব্যাটিং তান্ডবের পরও আফগানিস্তান হারল ৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার করা ১৬৮ রান টপকাতে নেমে মাত্র ২৩ বলে রাশিদ খেলেন ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংস। ফিফটি হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে। ছোট ব্যবধানের জয়েও টিকে আছে অস্ট্রেলিয়ার সেমির স্বপ্ন।
টেবিলের দুইয়ে থাকতে হলে অস্ট্রেলিয়াকে আজ জিততেই হত। অস্ট্রেলিয়া জিতেছেও ৪ রানে। এখন চেয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকে। লঙ্কানরা কাল সিডনিতে জিতলে সেমি খেলবে অস্ট্রেলিয়া। আর ইংল্যান্ড জিতলে টিকিট নিশ্চিত, বাদ স্বাগতিকরা।
অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান অধিনায়ক। ওপেনিংয়ে ব্যর্থ ক্যামেরন গ্রিন (৩)। ১৮ বলে ২৫ করে বোল্ড ডেভিড ওয়ার্নার। ৪ রানের বেশি পাননি স্টিভ স্মিথ। এরপর মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাটে এগোয় অজিরা।
পাঁচ রানের জন্য ফিফটি ফসকে গেল মার্শের। ব্যক্তিগত ২৫ রানে রাশিদ খানের শিকার হন স্টয়নিস। এরপর লড়লেন কেবল গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ওয়েড, কামিন্স, রিচার্ডসন ফিরে যান দ্রুত। ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৬৮।
আফগানদের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন নাভিন উল হক। মাত্র ২১ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট হারান উসমান গনি (২)। বিপরীতে রহমানউল্লাহ গুরবাজ খেলেন দারুণ কিছু স্ট্রোক্স। ভয়ংকর হয়ে ওঠা গুরবাজকে বিদায় করে অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেকথ্রু এনে দেন কেন রিচার্ডসন। ফেরার আগে ১৭ বলে করেন ৩০ রান।
গুলবেদিন নাইব ও ইব্রাহিম জাদরানের জুটিতে স্বস্তি পায় আফগানিস্তান। ইব্রাহিম ধীরগতির হলেও নাইব তুলেছেন ব্যাটে ঝড়। এই জুটিতে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলো আফগানরা। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পা বোলিংয়ে আসতেই আফগানদের বিপর্যয় শুরু। প্রথম বলেই ম্যাক্সওয়েলের ডিরেক্ট থ্রোতে রান-আউটে কাটা গুলবেদিন। ২৩ বলে করেন ৩৯ রান। পরের বলেই ইব্রাহিম (২৬) তুলেন ক্যাচ। এক বল পরেই নাজিবউল্লাহ হয়েছেন ডাক। দলীয় ৯৯ রানে টানা তিন উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপর দারুউইশ রাসুলির সঙ্গে রাশিদ খানের জুটি। শুরুতে ব্যাটে বল কানেক্ট করতে পারেনি রাশিদ। ১০ বলের পর তুলেছেন ঝড়! রাশিদ একা হাতে টেনে যান দলকে। আফগানিস্তান ৪ রানে হারলেও রাশিদ খানের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৪৮ রান।