

সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন ভারত কিংবা পাকিস্তান যাদের বিপক্ষেই এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জিতবে সেটি হবে অঘটন। ভারত ম্যাচের আগে তার এই বক্তব্য নিয়ে কম আলোচনা সমালোচনা হয়নি। শেষ পর্যন্ত নানা বিতর্কের ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫ রানে। এবার সামনে পাকিস্তান, সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচ। এ দফায়ও পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ।
অ্যাডিলেড ওভালে আগামী ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের পরই এলোমেলো পাকিস্তান, সেমির পথ থেকে ছিল দূরেই। তবে গতকাল (৩ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সমীকরণ জমিয়ে দেয় তারা। এখন নেদারল্যান্ডস ছাড়া গ্রুপ-২ এর সব দলেরই কাগজে কলমে আছে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ।
বেশ কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে। যে কারণে মুখোমুখি লড়াইয়ে আগে জয় নিশ্চিত করতে হবে, এরপর তাকিয়ে থাকতে হবে বাকিদের জয় পরাজয়ের দিকে। এমন ম্যাচের আগে নিজেদের খুব বেশি এগিয়ে রাখতে পারছে না বাংলাদেশ।
আজ (৪ নভেম্বর) অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তাসকিন জানান, ‘না ওরা আমাদের থেকে এগিয়ে আছে দল হিসেবে। এটা সবাই জানে পাকিস্তান অনেক ভালো দল আমাদের চেয়ে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো উন্নতি করা। একটু আগেও বললাম আমরা বড় দল হয়ে যাই নাই। কিন্তু হবো ইন শা আল্লাহ।’
আগে বল করলে পাকিস্তানকে ১৬০ এর মধ্যে আটকাতে চান উল্লেখ করে তাসকিন যোগ করেন, ‘আসলে টি-টোয়েন্টি খেলাটায় আন্দাজ করা কঠিন। যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। একটা ওভারে মোমেন্টাম বদলে যেতে পারে। আমরা বোলাররা যদি ভালো বোলিং করতে পারি এবং যদি আগে বোলিং করি মনে হয় যে ওদের যদি ১৫০-১৬০ এর মধ্যে আটকালে তাড়া করা সম্ভব। আর আগে ব্যাট করলে ভালো স্কোর হলেও ডিফেন্ড করার সামর্থ্য আমাদের আছে। ভালো ক্রিকেট খেললে জিততে পারব এই আশাটা আছে।’
বিতর্ক এক পাশে রেখে ভারতের বিপক্ষে হারা ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কি খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ?
এমন প্রশ্নের জবাবে টাইগার পেসার জানান, ‘ইতিবাচক হচ্ছে আমাদের ব্যাটসম্যানরা…দেখেন ১৬ ওভারে কিন্তু দেড়শ রান করছি। এটাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। লিটন খুব ভালো শুরু করেছে, বোলিংও ভালো হচ্ছে। সব মিলিয়ে ধারাবাহিক আমরা। অনেক ইতিবাচক দিকই আছে, অনেক ক্লোজ ম্যাচ, প্রায় জিতেই গিয়েছিলাম। এটা বাড়তি শক্তি আমাদের, ভারতের মতো বিশ্বমানের দলের সাথে এভাবে লড়াই করেছি।’