

এনসিএলে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে রাজশাহী পেয়েছে ইনিংস ও ৬৮ রানের জয়। ১৭৭ করা ওপেনার জহুরুল ইসলামের হাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। টানা দুই ইনিংসে উনপঞ্চাশে বিদায় নিতে হয় মইন খানকে। রাজশাহীর ৫০৮ রানের বিপরীতে বরিশাল করে ২৭৩ ও ১৬৭।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দাপট দেখিয়ে রাজশাহী দুই ওপেনার জহুরুল হক ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ছিলেন অনবদ্য। ১৭৭ রানের ইনিংস জহুরুলের, ১৪৯ জুনায়েদ সিদ্দিকীর। ব্যর্থ সাব্বির রহমান; ৬ বল খেলে করেন ১১। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। শেষদিকে প্রিতম কুমারের ১০১ রানের হার-না-মানা ইনিংসে ভর করে পাঁচশো রানের গণ্ডি পেরোয় রাজশাহী বিভাগ। ৮ উইকেটে ৫০৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।
জবাব দিতে নেমে ২৭৩ রানে থামে বরিশাল বিভাগের ইনিংস। মোহাম্মদ আশরাফুল ডাক হয়ে ফেরেন। তবে সর্বোচ্চ ৭২ রান আসে সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে। ওপেনার আবু সায়েম করেছেন ৬০। মইন খান এক রানের জন্য পাননি ফিফটি।
বল হাতে চমক দেখান নাহিদ রানা; ৬২ রান খরচায় দখল করেন পাঁচ উইকেট।
২৩৫ রানে পিছিয়ে থাকা বরিশালকে ফলো অন করাল রাজশাহী। ফের ব্যাটিংয়ে নেমে আশরাফুল-ফজলে রাব্বিরা গুটিয়ে যায় ১৬৭ রান করতেই। আর তাতেই রাজশাহীর নিশ্চিত হয় বড় জয়।
তবে ওপেনার আবু সায়েম ফের লড়লেন একা হাতে। ১৬৬ বলের ইনিংসে করেন ৫৬ রান। আগের ইনিংসে শূন্য আশরাফুল এবার করলেন ১৫। মইন খান দুই ইনিংসেই পুড়েন একের আক্ষেপে। টানা দু’বার তাকে থামতে হয় ৪৯ রানে।