

তামিলনাড়ু একাদশের বিপক্ষে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ড্রয়েই শেষ করলো বাংলাদেশ একাদশ। যে ম্যাচে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন মুমিনুল হক।
বৃষ্টি বাধা দূরে সরিয়ে চারদিনে যেটুকু খেলা হয়েছে তাতে ৬ উইকেটে বাংলাদেশ ১৯১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। মুমিনুল ছাড়া আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটার থিতু হতে না পারলেও তাইজুল ইসলাম দেন দারুণ সঙ্গ। ২২ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ২ উইকেটে ৬৬ তোলে তামিলনাড়ূ।
আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম মাত্র ২০ ওভার ব্যাট করতে পারে বাংলাদেশ। তাতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান আসে স্কোরবোর্ডে। মাহমুদুল হাসান জয় খালি হাতে ফিরলেও সাদমান ইসলাম ২২ ও সাইফ হাসান ২০ রান করে আউট হন। ৯ রানে মুমিনুল ও ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন মাঠে গড়ায়নি একটি বলও।
তৃতীয় দিন খেলা হয় ২৫ ওভার। তাতে বাংলাদেশ একাদশ হারায় আরও ৩ উইকেট। ব্যর্থ হয়েছেন মিঠুন (২৬ বলে ১৪), তৌহিদ হৃদয় (৯) ও জাকের আলি অনিক (০)। ফলে ৯৬ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দিন শেষ হয় ৬ উইকেটে ১১৪ রানে, মুমিনুল ২৭ ও তাইজুল ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ চতুর্থ দিন বাংলাদেশ ব্যাট করে আরও ২১ ওভার। তাতে মুমিনুল পান ফিফটির দেখা, তাইজুলের সাথে অবিচ্ছেদ্য জুটি ৯৫ রানের। মুমিনুল ১৭৭ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৬৯ ও তাইজুল ৯১ বলে ৩ চারে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করলে তামিলনাড়ু ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। ওপেনার কৌশিক গান্ধী (০) এলবিডব্লিউ হন পেসার খালেদ আহমেদের বলে। এরপর ৫৪ রানের জুটি শ্রীধর রাজু ও মকিত হরিহরনের। মকিতকে (৫৩ বলে ২১) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা।
এরপর আর ৬.১ ওভার ব্যাট করতে পারে তামিলনাড়ু। তাতে ৩৪ রানে শ্রীধর ও ৫ রানে অধিনায়ক প্রাদশ রঞ্জন পাল অপরাজিত ছিলেন।
ম্যাচটি ড্র হলেও প্রথম চারদিনের ম্যাচ জয়ের কারণে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ বাংলাদেশের।