

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই মাঠের খেলার সাথে মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা ইস্যু সামনে আসা। অ্যাডিলেড ওভালে ২ নভেম্বরের ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৃষ্টি বাগড়া দেওয়া রান বন্যার ম্যাচে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে আলোচনা হচ্ছে বৃষ্টির পর পিচ্ছিল মাঠে খেলা নিয়ে। ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসানকে উত্তর দিতে হয়েছে এই ইস্যুতে।
বৃষ্টি বিরতির পর আম্পায়ার যখন খেলা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় তখনও মাঠে পানির উপস্থিতি ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে জিজ্ঞাসা করা হয় ম্যাচ আরেকটু দেরিতে শুরু করা যেতো কিনা।
উত্তরে সাকিব বলেন, ‘এটা এমন সিদ্ধান্ত (খেলা কখন শুরু হবে) যা আম্পায়ার নিয়ে থাকেন। আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই না। আমরা খেলতে চেয়েছি, দুই দলই ২০ ওভারের ম্যাচ খেলতে চেয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বৃষ্টি এসে বাগড়া দিয়েছে। আমি খুশি দুই দল যেভাবে খেলেছে, সবাইই সঠিক স্পিরিটে খেলেছে। দুই দলই ভালো খেলেছে, আমরা খুব কাছাকাছি গিয়েছি, ২০১৬ বিশ্বকাপের মতো। তবে জিততে পারিনি।’
অজুহাত দিতে নারাজ সাকিব আল হাসান। তার মতে মাঠ পিচ্ছিল থাকার ফলে উলটো ব্যাটিং করা দলের সুবিধা পাবার কথা ছিলো।
‘মাঠ কিছুটা পিচ্ছিল ছিলো। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, মাঠ কিছুটা পিচ্ছিল ছিলো। এমন হলে সাধারণত ব্যাটিং সাইড সুবিধা পায়, বোলিং সাইডের চেয়ে। আমাদের এটাতে অজুহাত দেওয়া ঠিক হবে না।’
‘দুই দলই চাচ্ছিলো পুরো খেলাটাই হোক। আমরা ভাবিনি ডিএল মেথড আসতে পারে। যতক্ষণ বৃষ্টি হয়েছে ততক্ষনও বৃষ্টি হবার কথা ছিলো না। আমরা আশাবাদী ছিলাম যে পুরো ম্যাচটাই হবে। যেটা হয়েছে আমার কাছে মনে হয়না এটা খুব বেশি পার্থক্য গড়েছে খেলার ক্ষেত্রে বা আমাদের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে। বৃষ্টি টা না হলে হয়তো আমাদের মোমেন্টামটা ভালো থাকতে পারতো।’
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হবার পর একাধিকবার লিটন দাস পিছলে পড়েন রান নিতে যেয়ে। শেষদফায় তো রান আউটই হন। যদিও একারণে সাকিবের কাঠগড়ায় লিটন দাসই। তার মতে একবার অমন হবার পর সচেতন হওয়ার দরকার ছিল লিটনের।
সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যজনক এটা লিটনের জন্য যে সে দুইবার স্লিপ করেছে। আমি জানি না ও পিচের বাইরে বা ঘাসের জায়গা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো কিনা। যদি প্রথমবার ও ওখানে স্লিপ করে থাকে তাহলে পরেরবার ওর সচেতন হয়ে পিচের মাঝ দিয়ে দৌড়ানো উচিত ছিলো। আমি জানি না ও ঠিক কোন জায়গা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো, কারণ আমি তো পরের ব্যাটার ছিলাম। তো আমি মাঠে চলে যাবার ফলে বুঝতে পারিনি যে ও কোন জায়গা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো।’