

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ-ভারত দারুণ কিছু ম্যাচ দেখেছে। যেখানে ক্রিকেট ভক্তদের প্রত্যাশার বেলুনে হাওয়া বেড়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নেই, নতুন এই দ্বৈরথে তাই আগ্রহী হচ্ছিল ক্রিকেট অনুরাগীরা। কিন্তু ঘুরে ফিরে ম্যাচ জমিয়ে পরাজিত দলে বাংলাদেশকেই থাকতে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের কাছে আজ ৫ রানে হারের পর টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসানও যেন বাধ্য হলেন নিয়তি মেনে নিতে।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব, ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল, ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনাল তো সবমিলিয়েই জমজমাট ম্যাচের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে। এমনই এক ম্যাচ হয়েছে আজ (২ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে।
ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বিস্ফোরক এক ইনিংসে ৭ ওভারেই বিনা উইকেটে ৬৬ রান তোলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ঘন্টাখানেকের বৃষ্টিতে এলোমেলো সব। বৃষ্টি শেষে নতুন লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৫১।
ছন্দ হারিয়ে রান আউট লিটন, তার আগে নামের পাশে ২৭ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৬০ রান। তার বিদায়ের পর চলেছে আসা যাওয়ার মিছিল। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ১৪ বলে ২৫* কিংবা তাসকিনের ৭ বলে ১২* রানেও তাই দৃশ্যপট বদলায়নি। হারতে হয়েছে ৫ রানের ব্যবধানে।
পুরষ্কার বিতরণীতে অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘যখনই আমরা ভারতের বিপক্ষে খেলি এরকমটাই (কাছে গিয়ে হার) হয়ে আসছে। আমরা খুব কাছে চলে যাই কিন্তু শেষ করতে পারি না। দুই দলই ব্যাপারটা উপভোগ করে, খুবই ভালো একটা ম্যাচ ছিল আর এটাই আমরা আসলে চাই। শেষ পর্যন্ত কাউকে হারতে হবে, কাউকে জিততে হবে।’
লিটনের ইনিংস মূল্যায়ণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক যোগ করেন, ‘সে এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে আমাদের সেরা ব্যাটার। যেভাবে সে পাওয়ার প্লেতে ব্যাট করেছে সেটা আমাদের মোমেন্টাম দিয়েছে, সাথে বিশ্বাস জুগিয়েছে যে ছোট বাউন্ডারির সুবিধা কাজে লাগিয়ে এই রান আমরা তাড়া করতে পারবো।’
বল হাতে বাংলাদেশের দারুণ শুরু তাসকিন আহমেদের হাত ধরে। এই পেসার নিজের প্রথম ২ ওভারে দেন মাত্র ২ রান। হাসান মাহমুদ ক্যাচ মিস না করলে পেতেন রোহিত শর্মা উইকেটও। টানা স্পেলের পরের ২ ওভারে রান দেন ১৩। ৪-০-১৫-০ এমনই ছিল তার ফিগার। তবে তার ৪ ওভারের কোটা টানা শেষ করায় খানিক প্রশ্নের জায়গা তৈরি হয়।
সে প্রশ্নের জবাবও দেন সাকিব, ‘আপনি যদি ভারতের সেরা চার ব্যাটারের দিকে তাকান, তারা খুবই বিপদজ্জনক। আমাদের পরিকল্পনা ছিল এই চারজনকে শুরুতে তুলে নেওয়া। যেটার জন্য আমরা তাসকিনকে টানা চার ওভার করিয়ে ফেলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে উইকেট নিতে পারেনি। কিন্তু সে ইকোনিকাল ছিল।’