

২০০৯ সাল থেকে আজ অব্দি ভারত ও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১১ টি। যেখানে ১০ ম্যাচেই জিতেছে ভারত, বাংলাদেশের সবেধন নীলমণি জয়টি এসেছিল ২০১৯ সালে, ভারতের মাটিতে। কাগজে কলমে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ভারত।
অ্যাডিলেডে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ এর সুপার টুয়েলভের ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পরিসংখ্যান আমলে নিয়েই বলেছেন ভারত বা পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলে সেটা আপসেট হিসাবেই গন্য হবে।
তবে সাকিবের মতো ভাবছেন না ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার ও বর্তমান প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তিনি বাংলাদেশকে খুব ভালো দল হিসাবেই ভাবছেন। চলমান বিশ্বকাপে বেশ কিছু ম্যাচের ফল সামনে এনে দ্রাবিড় বলছেন যেকোন কিছুই হতে পারে।
দ্রাবিড় বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা তাদেরকে অনেক সম্মান করি। তারা খুবই ভালো দল। এই ফরম্যাট, এই বিশ্বকাপ আমাদের দেখিয়েছে যে আপনি কোন দলকেই হালকাভাবে নিতে পারবেন না। আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচে যেমন, এমন উদাহরণ বেশ কয়েকটা আছে এবারের আসরে।’
টি-টোয়েন্টিতে, বিশেষ করে চলমান বিশ্বকাপে কোন নির্দিষ্ট দলকে আগে থেকে ফেভারিট বলার উপায় নেই বলে মনে করেন দ্রাবিড়। নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।
দ্রাবিড় বলেন, ‘ফ্যাক্ট হচ্ছে, এটা অনেক সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট। এখানে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১২-১৫ রানের হয় যা কেবল ২ টা হিট (ছক্কা)! এটা এমন ফরম্যাট যে আপনার পক্ষে বলা মুশকিল কারা পরিষ্কারভাবে ফেভারিট। তাছাড়া কন্ডিশন দুই দলের মধ্যে প্লেয়িং ফিল্ডে সাম্যতা এনেছে ভালোভাবেই। বাউন্ডারি বেশ বড়, উপমহাদেশে যেই শটে আপনি ছক্কা পেতে পারেন সেই শটে এখানে আউট হতে হচ্ছে। তো সবকিছু বিবেচনায় আনলে আবহাওয়া বাদে এই টুর্নামেন্ট দারুণ হচ্ছে।’
‘আর আমরা বাংলাদেশকে নিশ্চিতভাবেই হালকা ভাবে নিচ্ছি না। আমাদের প্রস্তুতি তেমনই হবে যেমনটা পার্থে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছিলো। কোন পরিবর্তন হবে না।’