

২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ড শুরু হয়েছে আজ (৩১ অক্টোবর) থেকে। টায়ার-১ এর দুই ম্যাচে প্রথম দিন দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। বগুড়ার পেস বান্ধব উইকেটে আরেক দফা উইকেট শিকারে মেতে উঠে সুমন খান, সোহেল রানারা। আর তাতে একদিনে পড়েছে ২০ উইকেট। ঢাকা ও রংপুর দুই দলই নিজেদের প্রথম ইনিংসে হয়েছে অলআউট, করতে পারেনি ১০০ রানও। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাতে ১০ উইকেট নিয়ে ৯৯ রানের লিড ঢাকার।
অন্যদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন দাপুটে ব্যাটিং সিলেটের। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক জাকির হাসান। ৪ উইকেটে ৩৫১ রানে দিন শেষ করেছে তার দল। ১৩২ রানে অপরাজিত আছেন নিজে, সঙ্গী আসাদুল্লাহ আল গালিব অপরাজিত ৪৬ রানে। ফিফটি হাঁকান ওপেনার তৌফিক খানও।
ঢাকা-রংপুর (শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, বগুড়া)
বগুড়ার উইকেটে এমনিতেই দেশের সবচেয়ে পেস বান্ধব উইকেট। আর এবারতো উইকেটে ঘাস বাড়ানো হয়েছে ৮ মিলিমিটার পর্যন্ত। তাতে পেসারদের জন্য দারুণ এক মঞ্চ হয়ে এসেছে শহীদ চান্দুর উইকেট। সেটা কাজ লাগিয়ে ঢাকা ও রংপুরের পেসাররা চতুর্থ রাউন্ডের প্রথমদিনে আজ উৎসবে মেতেছে।
টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুর অধিনায়ক আকবর আলি। দলটির পেসার সোহেল রানার তোপে ১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। যার সবকটিই ছিল সোহেলের।
সেখান থেকে ঢাকা অধিনায়ক তাইবুর রহমান ও শুভাগত হোমের ৪৬ রানের জুটি। এ দফায় জুটি ভাঙে ৫৬ বলে ৪ চারে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ২৮ রান করা শুভাগত আউট হলে। তাকে ফেরান আরিফুল হক।
এরপর আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ঢাকা ইনিংস, আরিফুলের সাথে উইকেট শিকারে যোগ দেন আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো রংপুরের আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাতে ৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকা। তাইবুর ফিরেছে ১৫ রান করে। শেষদিকে নাজমুল ইসলাম অপুকে ফিরিয়ে নিজের ৫ উইকেট পূর্ণ করেন সোহেল রানা।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে আরও বিবর্ণ রংপুর। গুটিয়ে গেছে মাত্র ৭৩ রানে। তাদের পুড়তে হয়েছে সুমন খান ও সালাউদ্দিন শাকিলের পেস আগুনে। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান আরিফুল হকের। ১৬ রান করেন রবিউল হক, নাসির হোসেনের ব্যাটে ১৪।
সুমন ৫ উইকেট নেন ৩৩ রান খরচায়। শাকিলের ৩ উইকেট মাত্র ৪ রান খরচায়।
১১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য পথের দেখা পেয়েছে ঢাকা। ১৬ ওভার বিনা উইকেটে ৮৮ রান তুলে দিন শেষ করেছে। ইতোমধ্যে ফিফটি তুলে অপরাজিত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৫১ বলে ৯ চারে তার নামের পাশে ৫৪, আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ অপরাজিত ৩৩ রানে। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে ঢাকার লিড ৯৯।
সিলেট-চট্টগ্রাম (সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম)
বগুড়ায় পেসারদের দিন হলেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনটি ব্যটারদের। যেখানে দারুণ ব্যাটিং উপহার দিচ্ছে স্বাগতিক সিলেটই।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া স্বাগতিক দলপতি জাকির হাসান নিজেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। ৪ উইকেটে ৩৫১ রানে দিন শেষ করেছে তারা।
উদ্বোধনী জুটিতে তৌফিক খান ও ইমতিয়াজ হোসেন তুলে ফেলে ৯৪ রান। ততক্ষণে ফিফটি হাঁকানো তৌফিককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রনি চৌধুরী। ৬৩ বলে ৮ চার ৩ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজান তৌফিক। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকেননি ইমতিয়াজও (৬৭ বলে ৩৯ রান)। অমিত হাসান থেমেছেন ১৬ রান করে।
মাঝে আল আমিন জুনিয়রের সাথে জাকিরের ৭২ রানের জুটি জাকিরের। ২৫ রান করা আল আমিনকে ফেরান হাসান মুরাদ। তবে জাকির ছুটেছেন অপ্রতিরোধ্য গতিতে। ৭২ বলে ফিফটি ছুঁয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ১৩৯ বলে। আসাদুল্লাহ আল গালিবকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছেদ্য আছেন ১২১ রানে।
জাকির ১৯১ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় ১৩২ ও গালিব ১২৮ বলে ৪ চারে ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন।