

পার্থে বিধ্বংসী মেজাজে সবকিছু যেন চুরমার করে দিলেন ডেভিড মিলার। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি দক্ষিণ আফ্রিকার। মার্করামের ফিফটির ইনিংসের পর বাকি কাজটা সারেন মিলার। ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। ৫ উইকেটের জয়ে ‘বি’ গ্রুপের টপে এখন বাভুমার দল।
এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম হার এবং পাকিস্তানের সেমির স্বপ্ন নড়বড়ে হয়ে গেল।
১৩৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই দিশেহারা প্রোটিয়ারা। আর্শদীপ সিং ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন দুই উইকেট। ডি কক ১ রান করতে পারলেও ডাক হয়ে ফিরতে হয় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাইলি রুশো। ১০ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
এরপর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তুলে এইডেন মার্করাম। ফিফটি হাঁকিয়ে অবশ্য মার্করাম প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৪১ বলে খেলা ৫২ রানের ইনিংস থামিয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। বল হাতে তুলোধোনা হওয়া রবিচন্দন অশ্বিন নিজের শেষ ওভারে ফেরান ট্রিস্টান স্টাবসকে (৬)।
এরমাঝেই দারুণ সব স্ট্রোক্স খেলে ফিফটি হাঁকিয়ে নেন ডেভিড মিলার। শেষ ১২ বলে ১২ রানের সমীকরণ থেকে ৬ বলে ছয়। মিলার শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নামে লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা। শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ব্যক্তিগত ১৫ রান করে সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রোহিত শর্মা। একই ওভারে স্লিপে সহজ ক্যাচ তুলে আউট লোকেশ রাহুল (৯)। লুঙ্গি এনগিডির দুইয়ে দুই।
এনগিডি তুলে নেন তৃতীয় উইকেটও। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেন ১২ রান করা ভিরাট কোহলি। বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হাজার রানের মাইলস্টোন পেড়িয়ে যান ভিরাট। তবে শূন্য রানে ফিরে যান দীপক হুদা।
২ রান করতেই এনগিডির বলে উইকেট হারান হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর সুরিয়াকুমার যাদবের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। কার্তিককে (৬) সাজঘরে ফেরান অভিজ্ঞ পেসার ওয়েইন পারনেল। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৭ রান করে আঊট হন পারনেলের বলে। ১৮ ওভারে পারনেলের বলে আউট হন সুরিয়াকুমার; মাত্র ৪০ বলে খেলেন ৬৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। শেষপর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান দাঁড়ায় ১৩৩।