

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে গড়ানো ম্যাচে পরাজয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১ রানের পরাজয়ের ম্যাচও গড়ায় শেষ বল অব্দি। ব্যাটিং-বোলিং ঠিকঠাক হলেও ঠিক জয় আসছিলো না, অবশেষে পার্থে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত জয়। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে বাবর আজমের দল।
পার্থে এদিন আগে ব্যাট করতে নামে নেদারল্যান্ডস। ধীর লয়ে শুরু করা ডাচরা উইকেট হারায় ৩য় ওভারের ২য় বলেই। ১১ বলে ৬ রান করে শাহীন শাহ আফ্রিদির শিকারে পরিণত হন স্টিফান মাইবার্গ। তিনে নামা বাস ডি লিডকে ফিরতে হয় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। ১৬ বলে ৬ রান করা লিড আঘাত পান হারিস রউফের বলে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ডাচরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রানের জুটি গড়েন কলিন অ্যাকারম্যান ও অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ৪র্থ উইকেট জুটিতে এই রান আসার পর আর মাত্র ৩০ রান করতে পারে নেদারল্যান্ডস।
২০ ওভারে ৯ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৯১ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান কলিন অ্যাকারম্যানের। পাকিস্তানের পক্ষে ২২ রান খরচে ৩ উইকেট নেন শাদাব খান, ২ উইকেট মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের। ১ টি করে শিকার শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফের।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বাবর আজমের উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৫ বলে ৪ রান করা বাবর আজম আউট হন রান আউটে কাটা পড়ে। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামানের ৩৭ রানের জুটি।
১৬ বলে ২০ রান করে ফেরেন ফখর। ফিফটি থেকে ১ রান দূরে থেকে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ততক্ষণে জয়ের খুব কাছাকাছি পাকিস্তান। দল যখন জয় থেকে ১ রান দূরে তখন ফেরেন শান মাসুদও। ১৩.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
বল হাতে দারুণ পারফর্ম করা শাদাব খান হন ম্যাচসেরা।