

১৫ বছর ধরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ম্যাচ জিতেনি বাংলাদেশ। দলও টানা ব্যর্থতায় সময় পার করছিল। তবুও এবারের আসরে সেমিফাইনালে খেলার সমীকরণও খুঁজে পেয়েছিল কেউ কেউ। প্রথম পর্ব উতরে আসা নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে নিজেদের গ্রুপে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিল বলেই। কিন্তু পাকিস্তানকে হারিয়ে পুরো হিসাবই পাল্টে দিল জিম্বাবুয়ে।
নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তানের মধ্য থেকে অন্তত দুই জয়। এমন ভাবনায় বাংলাদেশের সেমিফাইনালের সম্ভাব্য পথ দেখে বিশ্লেষকরা। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রীতিমতো উড়ে যায় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে নিশ্চিত হারা ম্যাচেও পয়েন্ট ভাগাভাগি করার সৌভাগ্য হয় জিম্বাবুয়ের। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর সেই জয়। এই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আগামীকাল ব্রিজবেনের গ্যাবায় বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে ক্রেইগ আরভিনের দল।
যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ে সেমির স্বপ্নও দেখেছিল বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষেই চোখ রাঙাচ্ছে চ্যালেঞ্জ। টাইগারদের হারিয়ে এবার সেমির পিথে এগিয়ে যেতে চায় জিম্বাবুয়ে, পথটাও হয়ে যাবে সহজ। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারালেই অনেকটা নিশ্চিত সেরা চার। যদিও সম্ভাবনা দেখলেও এ নিয়ে বেশি ভাবতে নারাজ তারা।
আজ (২৯ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক আরভিন বলেন,
‘আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে সেমিফাইনাল খেলার। এ জন্য আমাদের বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হবে, নেদারল্যান্ডসকেও হারাতে হবে। এরপর আমরা আমাদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হব, পাশাপাশি অন্য ম্যাচগুলোর ফলের উপর কিছুটা নির্ভর করতে হবে।’
‘তবে আমরা এখনই অনেক দূরের ভাবনা ভাবতে চাই না। আমাদের পুরো মনযোগ আগামীকালকের ম্যাচে, আগামীকাল আমরা একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই। আর সেটা হলেই নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দিকে তাকাতে পারবো এবং পরবর্তী পরিকল্পনায় অগ্রসর হতে পারবো।’
অতীত পরিসংখ্যান অবশ্য এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। দুই দলের ১৯ লড়াইয়ে ১২ বার জিতেছে বাংলাদেশ, ৭ বার জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এখানে বড় প্রভাববক। শেষ ৫ ম্যাচের ৩ টিতে বিজয়ী জিম্বাবুয়ে। তবে বাংলাদেশকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখছে দলটির অধিনায়ক।
আরভিন যোগ করেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু। এই জয়েই আমাদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকে থাকলো। কিন্তু এটাও একটা ব্যাপার যে গতকাল আমরা ভ্রমণ করে এখানে এসেছি, আজকে অনুশীলন করলাম আর আগামীকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নামতে হবে। সবকিছু বেশ দ্রুত ঘটছে।’
‘আগের রাতে যা হয়েছে (পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়) সেখানেই পড়ে থাকার সুযোগ নাই। আমাদের পরের ম্যাচ নিয়ে মনযোগী হতে হবে, আর বাংলাদেশ দুর্দান্ত একটা দল। এখানে আগামীকাল আমাদের আবারও অসাধারণ ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’