জাতীয় লিগে মামুনের ডাবল সেঞ্চুরির দিনে সেঞ্চুরি অমিতের

featured photo v
Vinkmag ad

ঢাকা মেট্রো-বরিশাল (শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম, রাজশাহী)

দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১০৬ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ঢাকা মেট্রো। ১১ রানে আইচ মোল্লা ও ৬ রানে আবু হায়দার রনি অপরাজিত ছিলেন।

আজ চতুর্থ দিন শুরুতেই আইচকে (১১ রান) ফেরান আগেরদিন তিন উইকেট নেওয়া তানভীর ইসলাম। এরপর মেট্রোর ইনিংসে যোগ হয়েছিল কেবল ১৮ রান। তাতে অবদান ২০ রান করা রনির।

মেট্রো ১২৪ রানে অলআউট হওয়ার পথে বরিশালের তানভীরের শিকার ৫ উইকেট। ৪ উইকেট নেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। বরিশালের জন্য লক্ষ্য ঠিক হয় ২১৪।

জয়ের পথে ভীতটা গড়ে দেন দুই ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ ও মোহাম্মদ আশরাফুল। দুজনে একসাথে যোগ করেন ৮৪ রান। ৩৪ রান করে আশরাফুল আউট হলে ভাঙে জুটি। তবে রাফসান তুলে নেন ফিফটি, থেমেছেন ৭১ রান করে।

১৪১ বলে ৮ চারে ইনিংসটি সাজান এই ওপেনার। তার বিদায়ের পরও জয় আসে আবু সায়েম (২৭), সালমান হোসেন (১৮), সোহাগ গাজীদের (২৩) ছোট তবে কার্যকরী ইনিংসে ভর করে।

লক্ষ্য তাড়ার পথে বরিশালের হারানো ৬ উইকেটের ৫ উইকেটই নেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।

এর আগে প্রথম ইনিংসে মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে ঢাকা মেট্রোর সংগ্রহ ২৫৫। জবাবে বরিশাল প্রথম ইনিংসে অলআউট ১৬৫ রানে। ৯০ রানে এগিয়ে থাকা মেট্রো দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ১২৪ রানে।

রংপুর-সিলেট (সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম)

বৃষ্টির কারণে প্রথম দুইদিন মাঠে গড়ায়নি কোনো বল। তৃতীয় দিন ৫৭ ওভার খেলা হয়, তাতে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ১৭২ রান রংপুরের। আব্দুল্লাহ আল মামুন ৭৯ ও নাঈম ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ৫৬ রানে।

আজ শেষদিনে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি নাঈম। আবু জায়েদ রাহীর শিকার হন ৬৫ রানে। এরপর নাসির হোসেনকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি মামুনের।

ততক্ষণে পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। লেগেছে ২২১ বল, হাঁকান ১১ চার ৪ ছক্কা। মাঝে নাসির ২৯ ও আকবর আলি ফেরেন ১ রান করে।

তবে লেজের ব্যাটারদের নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান মামুন। যে পথে জুটির ফিফটি গড়েন আরিফুল হক(২৮) ও সোহরাওয়ার্দী শুভর (২৫) সাথে।

৩৪২ বলে ১৬ চার ১২ ছক্কায় ছুঁয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৪০৫ রান তুলতেই ইনিংস ঘোষণা করে রংপুর। মামুন অপরাজিত ছিলেন ৩৬৪ বলে ১৬ চার ১৩ ছক্কায় ২১০ রানে। সিলেটের হয়ে ৪ উইকেট রাহীর।

জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১.২ ওভার ব্যাট করে সিলেট পায় ২ উইকেটে ১১৯ রানের সংগ্রহ। দুই ওপেনার রাহাতুল ফেরদৌস ও তৌফিক খান উদ্বোধনী জুটিতে তোলে ৬৪ রান।

১৪ রান করে রাহাতুল আউট হকেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং তৌফিকের। ৪৫ বলে ৬ চার ৪ ছক্কায় ফিফটি ছুঁয়ে সেঞ্চুরির দিকেও এগোচ্ছিলেন। ফিফটির পর যেন আরও ঝড়ো ব্যাটিং, তবে ইনিংসের ৬২ তম ওভারে ফেরেন নার্ভাস নাইনটিজে।৷

৬২ বলে সমান ৮ টি করে চার, ছক্কায় নামের পাশে ৯২ রান। তার বিদায়ের পরই দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করে আম্পায়ার। ড্রয়ে মেলে সমাধান।

খুলনা-রাজশাহী (সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড-২)

প্রথম দুইদিন বল গড়ায়নি একটিও। তৃতীয় দিন ৪২ ওভার, তাতে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৫৬ খুলনার। অমিত মজুমদার ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

আজ শেষদিনে সেঞ্চুরির দেখা পান অমিত। বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে ১৯৬ বলে ৯ চার ১ ছক্কায় ১০১ রান করে আউট হন তিনি। তাতে দলীয় সংগ্রহ ২৬৭।

জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকে ১২৪ রান রাজশাহীর। ৪ রান করে জুনায়েদ সিদ্দিকী আউট হয়েছেন। তবে জহরুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন অপরাজিত ছিলেন জোড়া ফিফটি হাঁকিয়ে। ১৩০ বলে ৭ চারে ৬৪ রান জহরুলের, ৮৫ বলে ৬ চারে ৫১ ফরহাদের। এই ম্যাচেও সমাধান মেলে ড্রয়ে।

ঢাকা -চট্টগ্রাম (শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, বগুড়া)

এই ম্যাচে প্রথম দিন ২৩.৩ ওভার খেলা হয়। আগে ব্যাট করা ঢাকা ২ উইকেটে তোলে ৫৪ রান। আব্দুল মজিদ ২৬ ও রাকিবুল হাসান ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মাঠে গড়ায়নি কোনো বল।

আজ শেষদিনে ৫ উইকেটে ১৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। সর্বোচ্চ ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইবুর রহমান, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ মজিদের ব্যাটে।

জবাবে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ৫০ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। দুই ওপেনার সাব্বির হোসেন (৩) ও পিনাক ঘোষ (০) আউট হয়েছেন। ২৬ রানে পারভেজ হোসেন ইমন ও ১৯ রানে তাসামুল হক অপরাজিত ছিলেন। সমাধান ড্রয়ই।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

মিঠুনের সেঞ্চুরির পর রাজা-তাইজুলের তোপ, জয়ের পথে বাংলাদেশ

Read Next

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো জিম্বাবুয়ে

Total
2
Share