

দেশের ক্রিকেট তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেই নাজমুল হোসেন শান্তর মতো টিম ম্যানেজমেন্টের সমর্থন পাওয়া ক্রিকেটার খুব কম আছে। আহামরি কিছু না করেই হুট করে সুযোগ পেলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে হতাশ করেও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মূল একাদশে খেললেন ওপেনার হিসেবে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে রাখলেন ব্যাট হাতে অবদানও। ম্যাচ শেষে সমালোচকদের জবাব দেওয়া প্রসঙ্গে জানালেন এসবের চেয়ে দলের জয় তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার আগে শান্তর টি-টোয়েন্টি গড় ছিল ১৮.৫০, স্ট্রাইক রেট ১০৮.২০। ৯ ম্যাচে রান ১৪৮।
এরপর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার পর দলের সাথে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে দুই ম্যাচ সিরিজে একবারও একাদশে জায়গা মেলেনি। দলের পরবর্তী গন্তব্য নিউজিল্যান্ডে। ত্রিদেশীয় সিরিজটিতে খেলেছেন ৩ ম্যাচ, করেছেন ওপেন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯ বলে খেলেন ৩৩ রানের একটি ইনিংস, তাতে ছিল না কার্যকয়ারিতা, পেয়েছেন জীবনও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ১২ বলে ১১ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ১৫ বলে ১২। তবে আস্থা হারায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, অধিনায়ক।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচেও ওপেন করেন শান্ত। তবে থামতে হয়েছে ৯ বলে ১২ রান করে। দলের আস্থার জায়গা কমেনি এতোটুকুও। টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনাও হচ্ছিল সংবাদ মাধ্যমে।
তবে আজ (২৪ অক্টোবর) সুপার টুয়েলভের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশকে পথ দেখালেন শান্তই। সৌম্য সরকারকে নিয়ে ৫.১ ওভার স্থায়ী জুটিতে তোলেন ৪৩ রান। ৩০ ইনিংস পর টাইগারদের ওপেনিং জুটি পেরোলো ৪০ এর ঘর। যদিও ২০ বলে ৪ চারে ২৫ রান করে ফিরতে হয় এই বাঁহাতিকে। তার চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল আফিফ হোসেন (৩৮)।
View this post on Instagram
বাংলাদেশ পায় ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের পুঁজি। ১৩৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে ডাচদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ৯ রানের। সমালোচনা মাড়িয়ে নিজেকে সামলে কীভাবে ব্যাট করছেন শান্ত? এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হন আজ ম্যাচ শেষে।
জবাবে ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাকে নিয়ে আলোচনাটা খুব বেশি গুরত্বপূর্ণ না। আমরা এই ম্যাচটা জিতেছি এটা বেশি গুরত্বপূর্ণ। খুব ভালো একটা শুরু হয়েছে। আশা করব সামনের ম্যাচেও এটা ধরে রাখতে পারব।’
‘অবশ্যই অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই অনেক সমর্থন দিচ্ছে। সবাই একসঙ্গে আছে। একজন আরেকজনকে সহায়তা করছে। সবাই উপভোগ করছে। কেউ খারাপ করলে তার পাশে থাকছে। সর্বোপরি দলের পরিবেশ খুবই ভালো।’
টানা বাজে ফর্মে থাকার পর দলকে দারুণ একটা শুরু এনে দেওয়া, শান্ত নিজে কতটা আত্মবিশ্বাসী সামনের দিনগুলোর জন্য? এমন প্রশ্নে তার সোজা উত্তর, বিশ্বকাপে পুরো দলেই কেউ নেতিবাচক ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে না।
তার ভাষায়, ‘এই পুরো সফরে নেগেটিভ কোনো কিছুই চিন্তা করছি না। টপ অর্ডারে ভালো একটা শুরু পেয়েছি আমরা আশা করবো সামনের ম্যাচেও এরকম ভালো কিছু হবে।’