যখন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ও ‘বড়’

যখন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ও 'বড়'
Vinkmag ad

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯ রানের জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের। ১৫ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে এলো জয়। বিশেষ করে টাইগাররা যখন টানা হারে বিধ্বস্ত তখন এসেছে কাঙ্ক্ষিত এই জয়। সব মিলিয়ে বহুদিন পর উদযাপনের উপলক্ষ্য পেয়ে ম্যাচ সেরা তাসকিন আহমেদ জানালেন এটি তাদের কাছে বড় হিসেবেই ধরা দিয়েছে।

হোবার্টের বেলেরিভ ওভাল স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলেছে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। জবাবে তাসকিন ইনিংসের প্রথম দুই বলেই উইকেট নিয়ে বিপাকে ফেলেন নেদারল্যান্ডসকে। যে বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ডাচরা, পরে তাদের আশার আলো হয়ে টিকে থাকা কলিন অ্যাকারম্যান (৪৮ বলে ৬২) সহ ফেরান আরও একজনকে।

২৫ রানে ৪ উইকেট তাসকিনের ঝুলিতে, যা তার ক্যারিয়ার সেরাও। নেদারল্যান্ডস গুটিয়ে গেছে ১৩৫ রানে। এই জয়ে ২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে না জেতার আক্ষেপ ঘোচালো টাইগাররা।

সর্বশেষ ২০ ম্যাচে ৪ জয়, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের সবকটিতে হার। প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাজে হার। এমন কঠিন সময় পাশে রেখে আজকের ৯ রানে পাওয়া জয়কে তাই স্বস্তির চেয়েও বেশি কিছু বলছেন তাসকিন।

সংবাদ সম্মেলনে ডানহাতি এই পেসার জানান, ‘এটা স্বস্তির চেয়ে বড় উদযাপনের উপলক্ষ্য। কারণ এর আগে আমরা সুপার টেনে (মূল পর্বে) ম্যাচ জিতিনি (২০০৭ সালের পর)। তো সেদিক থেকে এটা আমাদের জন্য বড় জয়। আর টি-টোয়েন্টিতে ছোট, বড় দল বলে কিছু নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল বাছাই পর্বে বাদ পড়েছে।’

‘তো এটা আমাদের জন্য বড় একটা জয় আলহামদুলিল্লাহ। প্রত্যেকটা ম্যাচ যার সাথেই খেলি না কেন আমাদের স্বপ্ন জেতা। এখন আমাদের দলের বন্ডিংটা অনেক ভালো, আমি নিশ্চিত এভাবে যদি আমরা এগোতে থাকি একই প্রক্রিয়ায় সামনে আরও ভালো কিছু করবো।’

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮ ব্যাটার নিয়েও সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার ৫ ওভারে ৪৩ রান তুলে দেওয়ার পরও ধ্বস নামে ব্যাটিংয়ে। ৭৬ রানে নেই ৫ উইকেট, শেষদিকে আফিফ হোসেনের ৩৮ ও মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত ২০ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়া যায়।

তাসকিন বলছেন সব কন্ডিশনই কঠিন। এই বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচ জিতলেও বলবেন এখনো উন্নতির খোঁজে আছে টাইগাররা।

তার ভাষায়, ‘আসলে শুরুতে কিছুটা বাড়তি বাউন্স পাওয়া যাচ্ছিল হয়তোবা। মানিয়ে নিতে শুরুতে সমস্যা হচ্ছিল আমাদের। সহজ ছিল না, আসলে কোনো কন্ডিশনই সহজ না ভাই। আমরা প্রত্যেকটা কন্ডিশনে মানিয়ে নিচ্ছি। আমরা যদি বিশ্বকাপের বাকি সব ম্যাচেও জিতি তাও একটা কথাই বলবো যে আমরা এখনো উন্নতির খোঁজে আছি।’

‘সহজ ছিল না (ব্যাটিং), শেষ দিকে ছোট ছোট কিছু জুটি কার্যকর ছিল। আল্লাহর রহমতে হয়তো ম্যাচ জিতেছি তবে ১০-১৫ রান কম করেছি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো কামব্যাক করেছি। চাইবো সামনের ম্যাচগুলোতে আরও ধারাবাহিক হতে এবং আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

দলের কথা ভেবে হ্যাটট্রিকের লোভ সামলেছেন তাসকিন

Read Next

ডি ককের তান্ডবের পরও জিতল না দক্ষিণ আফ্রিকা; পয়েন্ট হল ভাগ

Total
1
Share