

নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৩। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য উড়ন্ত সূচনাই বলতে হয়। তবে এরপরই ছন্দ পতন, সাম্প্রতিক সময়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে এলোমেলো ব্যাটিং, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো। ৭৬ রানে ৫ ব্যাটারের বিদায়ের পর আফিফ হোসেন-মোসাদ্দেক হোসেনের খানিক প্রচেষ্টা। এভাবেই জোড়া তালি দিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হোবার্টের বেলেরিভ স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৩৮ আফিফের, ২৫ রান করেন ওপেনার শান্ত। শেষদিকে ১২ বলে অপরাজিত ২০ রানের ক্যামিও মোসাদ্দেকের।
বাংলাদেশের চিন্তার নাম উদ্বোধনী জুটিই এ দিন ভালো শুরু এনে দেয়। লিটন দাসকে তিন নম্বরে পাঠিয়ে সৌম্য-শান্তে আস্থা রাখার প্রতিদান মিলেছে। দুজনে ৫.১ ওভার স্থায়ী জুটিতে উপহার দেয় ৪৩ রান।
ইনিংসের প্রথম ওভারে সৌম্য ও চতুর্থ ওভারে শান্ত হাঁকান দুই চার। পঞ্চম ওভারের প্রথম দুই বলেও টানা দুই চার শান্তর ব্যাটে। ৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ৪৩ রান, তবে ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই ফেরেন সৌম্য।
পল ভ্যান মিকিরেনকে পুল শট খেলতে চেয়ে টাইমিং গড়মিল করেন এই বাঁহাতি, মিড উইকেটে ব্যাস ডি লিডকে ক্যাচ দেন ১৪ বলে ১৪ রান করে। ঐ ওভারে রান আসে ৪, পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪৭ বাংলাদেশের।
পরের ওভারের প্রথম বলে ফেরেন দারুণ শুরু পাওয়া শান্তও। আক্রমণে এসেই তাকে ক্যাচে পরিণত করেন বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গল। ২০ বলে ৪ চারে ২৫ রানের ইনিংসটি সাজান শান্ত। ৭ম ওভারেই অবশ্য দলীয় ৫০ রান পেরোয় টাইগারদের।
কিন্তু সাকিব আল হাসানের সাথে জুটি জমাতে ব্যর্থ লিটন দাস (১১ বলে ৯)। সারিজ আহমেদের বলে ডি লিডের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাকিবও ফেরেন ৯ বলে ৭ রান করে। ২০ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে টাইগাররা।
ক্রিজে এসে সারিজকে দারুণ এক ছক্কায় শুরু আফিফ হোসেনের। কিন্তু এরপরই বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭০।
তবে মিনিট দশেকের মাঝেই শুরু হয় খেলা।
খেলা শুরু হতেই দ্রুত ফেরেন ইয়াসির আলি রাব্বি। গতির মিশেলে ছোঁড়া মিকিরেনের ফুলার লেংথ ডেলিভারি স্টাম্প উপড়ে নেয় রাব্বির (৫ বলে ৩)। ৭৬ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
সেখান থেকে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলওকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা আফিফের। ১৫তম ওভারে সারিজকে টানা দুই বলে হাঁকান চার, ছক্কা। পরের ওভারে অবশ্য ব্যক্তিগত ২৮ রানে জীবন পান এই বাঁহাতি, ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ ছাড়েন প্রিঙ্গল। ৪৪ রানের জুটি ভাঙে সোহান (১৮ বলে ১৩) আউট হলে। দলের পক্ষ সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন আফিফও।
শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেকের ১২ বলে ২ চার ১ ছক্কায় সাজানো অপরাজিত ২০ রানে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৫০ ছুঁইছুঁই পুঁজি। ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মিকিরেন ও ডি লিড।