বাংলাদেশকে ছাড়া এশিয়া কাপের বাকি পথ, মন খারাপ আতহার আলির

received 645380180496848
Vinkmag ad

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে মাঠে গড়ায়নি বলে নারী এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও বৃষ্টি আইনে হারতে হয়েছে, সেখানে অবশ্য টাইগ্রেসদের ব্যর্থতাই দায়ী। নিজের দেশ সেমি-ফাইনালে উঠেনি, ধারাভাষ্যকার আতহার আলি বলছেন, টুর্নামেন্টের বাকি অংশে বাংলাদেশকে ছাড়া দুঃখজনকই।

লিগ পর্বে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার কাছে হারে ৩ রানে। বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য ঠিক হয়েছিল ৭ ওভারে ৪১। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি। ঐ ম্যাচে হেরেই মূলত সেমি-ফাইনালের পথটা কঠিন করে ফেলে। ফলে আজ (১২ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জিততেই হত তাদের।

কিন্তু মুষুলধারে বৃষ্টিতে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সকাল ৯ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি পরিত্যক্ত করতে বাধ্য হয় আম্পায়ার। ১ পয়েন্ট কম হওয়াতে সেমি-ফাইনাল খেলা হয়নি টাইগ্রেসদের। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার সাথে সেরা চারে সুযোগ হল থাইল্যান্ডের, তাদের জন্য যা এবারই প্রথম।

আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারাভাষ্য কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবেদককে ভয়েজ অব বাংলাদেশ খ্যাত আতহার আলি খান জানান নিজের অনুভূতির কথা।

জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার ও নারী দলের নির্বাচক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় বৃষ্টির কারণে আমরা জিততে পারিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের খেলাটাও যদি পুরো হত আমাদের ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হলেতো কিছু করার নাই। বৃষ্টির পর যদি ৫ ওভারের খেলাও হত অবশ্যই একটা ভালো জয় পেতাম বলে আমি আশাবাদী। আমরা সেমি-ফাইনালও খেলতাম।’

বাংলাদেশকে ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকি অংশ কেমন কাটবে এমন প্রশ্নের জবাবে জানান,

‘অবশ্যই দুঃখজনক। আমরা যেহেতু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, আর খেলাটা যেহেতু আমাদের মাঠে আপনাদের মতো আমরাও আশা করেছিলাম বাংলাদেশ ভালো খেলবে। আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশ ভালো খেলুক আর জয় লাভ করুক। জয় না পেলে অবশ্যই দুঃখজনক। কিন্তু আমরা সবাই পেশাদার, কাজ করতে আসছি এখানে, শেষ পর্যন্তই করতে হবে। অবশ্যই দুঃখ লাগছে বাংলাদেশ দল নাই (বাকি অংশে)। ‘

তবে আতহার টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশের ছিটকে যাওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ৬ ম্যাচে ২ জয়ে পয়েন্ট মাত্র ৫। হারতে হয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে। মূলত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই পিছিয়ে পড়ে টাইগ্রেসরা।

এ নিয়ে তার ভাষ্য, ‘যখন বৃষ্টির পর আমাদের ৭ ওভারে ৪১ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে আমি ভেবেছি এটা সহজেই তাড়া করার মতো লক্ষ্য। বৃষ্টির পর অবশ্য উইকেটের আচরণ বদলেছে, বল কিন্তু আসছিল না ব্যাটে। উইকেট কাভারে ডেকেছিল, উইকেট কঠিন হয়ে যায় কিছুটা।’

‘যে কারণে আমাদের ব্যাটাররা খুব বেশি শট খেলতে পারেনি। তবে একটা জিনিস করতে পারলে ভালো হত, সিঙ্গেলের সংখ্যাটা যদি বাড়াতে পারতো। আমরা ৭ টা উইকেট হারিয়েছি, মানে ৭ টা ডট বল। এর বাইরেও ডট বল ছিল ৯ টা, অর্থাৎ ১৬ বল এভাবেই নষ্ট হয়েছে। ওরা যদি এই ডটগুলো কমিয়ে সিঙ্গেল খেলতো তাহলে ফল ভিন্ন কিছু হতে পারতো বলে মনে করি।’

এদিকে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওপেন করতে নেমে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন শামীমা সুলতানা। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হন (১ ও ০), এরপর আর একাদশে সুযোগ পাননি। আতহারের মতে ওপেনিংয়ে শামীমাকেই টেনে নেওয়া উচিৎ ছিল বাংলাদেশের।

জাতীয় দলের সাবেক এই ব্যাটার বলেন, ‘যদি পাওয়ার হিটারের কথাই বলি আমি মনে করি শামীমা সুলতানাকে আমরা ব্যবহার করতে পারতাম। ৪৯ রানের দ্রুত একটা ইনিংস খেলেছিল। একটা ম্যাচ পরে আর তাকে সুযোগ দেওয়া হয় নাই। আমি মনে করি সে সঠিক ব্যক্তি ছিল, তার হাতে ভালো স্ট্রোক আছে। তার সাথে এমন একজনকে যদি খুঁজে বের করে নিতে পারি তাহলে আমাদের মহিলা দলের জন্য অবশ্যই অবশ্যই ভালো হবে।’

সিলেট থেকে ক্রিকেট৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

খুলনায় স্বাগতিকদের লিড; রাজশাহীতে পিছিয়ে স্বাগতিকরা

Read Next

প্রোটিয়াদের লজ্জার হার উপহার দিয়ে ভারতের সিরিজ জয়

Total
1
Share