

পাকিস্তানের বিপক্ষে নারী এশিয়া কাপের ম্যাচে ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। যে ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭০ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগ্রেসরা। ম্যাচের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। এবার বাংলাদেশ কোচ মাহমুদ ইমনতো রীতিমতো ক্ষোভই উগরে দিলেন। এমনকি ম্যাচের পর আম্পায়ার্স রিপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ এ গতকাল (৩ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ৭০ রানেই গুটিয়ে যেতে হয় তাদের। জবাবে ১২.৩ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখেই জিতে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ৬ অক্টোবর মালেশিয়ার সাথে। তবে ঐ ম্যাচের ভেন্যু ও সময় আলাদা, খেলবে মূল মাঠে। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।
তার আগে আজ (৪ অক্টোবর) দলের অনুশীলন থাকলেও তা বাতিল করে বাংলাদেশ। যদিও দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন কোব মাহমুদ ইমন।
আগের ম্যাচের উইকেট প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই উইকেটের যে আচরণ ছিল এটা ডিসাইডেড ম্যাচ ছিল। আপনারা দেখতে পারবেন উইকেটের আচরণটা। তারপরও আমরা তিন বিভাগেই খারাপ খেলেছি।’
‘আমি সত্যি কথা যদি বলি আমি ঘরের দল হিসেবে সুবিধা চাই না। কিন্তু একটা স্পোর্টিং উইকেটের প্রয়োজন। আমি সব জায়গায় দেখেছি, যত জায়গায় মেয়েদের ক্রিকেটের খেলা হয়েছে। চেষ্টা করে স্পোর্টিং উইকেট দেওয়ার। ’
সিলেট জেলা কোচ থেকে বর্তমান জাতীয় নারী দলের কোচ হওয়া ইমন বলছেন এমন উইকেট স্থানীয় ক্রিকেটেও দেখেননি।
তার ভাষায়, ‘ এটা যেহেতু আমার হোম ডিস্ট্রিক্ট। আমি স্থানীয় ক্রিকেটেও এরকম উইকেট দেখিনি। এটা মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য, আমাদের যে এফটিপি ট্যুর আছে, যে কাজগুলো আছে। আমাদের বিশ্বকাপ আছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আমাদের মনোবল ও প্রস্তুতির জন্য এটা একটা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’
আম্পায়ার্স রিপোর্টেও এ নিয়ে অভিযোগ করা প্রসঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘কালকে আমাদের ম্যানেজারও আম্পায়ার্স রিপোর্ট এটা দিয়েছে। উইকেট নিয়ে অবশ্যই আমাদের কনসার্ন পারসনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছে। যেহেতু এটা এসিসির টুর্নামেন্ট। এসিসির যারা প্রতিনিধি তাদের কাছেই দিয়েছি।’
এমনকি বিশ্বের অন্য কোথাও মেয়েদের ক্রিকেটের সাথে গিয়ে এমন উইকেট দেখেননি বলেও মত তার, ‘আমি মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে যতদিন ধরে কাজ করেছি, আমি এরকম উইকেট দেখিনি।’