

গ্রুপ পর্বে যে ধরণের ব্যাটিং প্রদর্শনী ছিল বাংলাদেশ নারী দলের, ঠিক সেরকমটা দেখা যায়নি সেমি-ফাইনালে। তবে বোলারদের কল্যাণে স্বল্প পুঁজি নিয়েও থাইল্যান্ডকে ১১ রানে হারিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ফাইনালে উঠে গেলো টাইগ্রেসরা। আর তাতেই নিশিচত হয়ে গেলো আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট।
Bangladesh book their spot for the ICC Women’s T20 World Cup 2023 🎉 pic.twitter.com/oFHlhkibU6
— T20 World Cup (@T20WorldCup) September 23, 2022
আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ নারী দল পায় ৫ উইকেটে ১১৩ রানের সংগ্রহ। সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৮ রানে রুমানা আহমেদের ব্যাটে।
জবাবে শুরু থেকেই চাপে থাকা থাইল্যান্ড নারী দল জয়ের পথে কখনোই টেক্কা দিতে পারেনি। পুরো ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১০২ রান। ফিফটি হাঁকিয়েও পরাজিত থাকতে হল নাত্তাকান চানতামকে (৬৪)।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে পায় ৩৪ রান। ১৭ বলে ১১ রান করে ফারজানা হক পিংকি আউট হলে ভাঙে জুটি। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ৩৫ বলে করেছেন ২৬ রান।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ফর্মের তুঙ্গে থাকা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও খেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিরুদ্ধ ইনিংস। ২৪ বলে ১৭ রানেই থামতে হয় তাকে। এমন ধীরগতি বজায় ছিল বাকি ইনিংসজুড়েই।
সর্বোচ্চ ২৪ বলে ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রুমানা আহমেদ। তাতে ৫ উইকেটে ১১৩ রান বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে।
মোটামুটি ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের চেয়েও ধীর গতিতে খেলে থাই মেয়েরা। শুরুর ধীর গতি আর বাড়াতে পারেনি, সাথে উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ১৩ রানে হারায় ৩ উইকেট।
মাঝে নাত্তাকান চানতাম ও অধিনায়ক নারুয়েমল চাইয়াইয়ের ৩২ রানের জুটি। কিন্তু ১২ রান করে চাইয়াই আউট হলে পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর কাজটা একাই করেছেন চানতাম। তার ৫১ বলে ৪ চার ৩ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংসের পরও থাইল্যান্ডকে থামতে হয়েছে ১০২ রানে।
৫ম উইকেট জুটিতে সোর্নারিন তিপ্পোচকে নিয়ে যোগ করেছিলেন ৫৭ রান। যেখানে তিপ্পোচের অবদান ১০। ইনিংসের শেষ দুই বলে উইকেট হারায় থাইল্যান্ড।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে প্রথম সেমি-ফাইনালে বিজয়ী আয়ারল্যান্ডের। জিম্বাবুয়েকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আইরিশরা। ফাইনালে জয় পরাজয় ছাপিয়ে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দুই দলই পেলো বিশ্বকাপের টিকিট।